অনিয়মের তথ্য সংগ্রহে এনজিও কার্যালয়ে যাওয়া দুই সাংবাদিককে মারধর

4 hours ago 4

লালমনিরহাটে বেসরকারি সংস্থা ইউএসডিও’র কার্যালয়ে একটি প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছনা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার বানভাসা মোড়ে অবস্থিত ওই এনজিওর কার্যালয়ে আরটিভির লালমনিরহাট প্রতিনিধি ও তার ক্যামেরা পার্সন আরিফুল ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয় বলে জানা গেছে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ইউএসডিও’র চার কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি অর্থায়নে সিসিপ প্রজেক্টের আওতায় পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় ইএসডিও-ইকো ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ইআইটি) প্রকল্প ‘তিস্তা টেকনিক্যাল সেন্টার ফর হিউমেন ডেভলপমেন্ট (টিটিসিএইচডি) নামে একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার পরিচালনা করছে। এই ট্রেনিং সেন্টারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও আরিফুল ইসলাম রোববার দুপুর ২টার দিকে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহে যান।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, তারা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে অভিযোগকারীদের বক্তব্যের সত্যতা পান ও ক্লাস রুম পরিদর্শনেও অনিয়ম দেখতে পান। এ বিষয়ে ট্রেনিং সেন্টারের ইনচার্জ খাদেমুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাদের ওপর চড়াও হন ও ‘রশি আনো, এদের বাঁধবো’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, তারা কার্যালয়ের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেন ও আমাদের একটি অফিস রুমে আটকে রেখে মারধর করেন। আমাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় ও নানাভাবে হেনস্তা করা হয়।

অভিযোগে হামলায় জড়িত হিসেবে ইউএসডিওর কর্মকর্তা সুজন মিয়া, এরশাদ আলী, রমজান আলী ও ইনচার্জ খাদেমুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএসডিও’র একজন ট্রেইনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাংবাদিকরা প্রথমে প্রবেশ করে বক্তব্য চাইলে আমরা দেইনি। পরে ইনচার্জ আমাদের ডেকে পাঠান। এক কথায় দুই কথায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা পেশাগত দায়িত্বপালনে অনিয়মের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের কঠিন শাস্তি চাই।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে আমিও গিয়েছিলাম। এ ঘটনায় সাংবাদিক মিজানুর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মহসীন ইসলাম শাওন/এমএন/এএসএম

Read Entire Article