অভিবাসী জীবনের উপন্যাস ‘ফ্লেশ’ লিখে বুকার জিতলেন ডেভিড সজলে

1 hour ago 2

‘ফ্লেশ’ উপন্যাসের জন্য ২০২৫ সালে ‘দ্য বুকার’ পুরস্কার পেয়েছেন কানাডায় জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ-হাঙ্গেরীয় লেখক ডেভিড সজলে। ইংরেজি ভাষায় রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের জন্য লেখককে পুরস্কৃত করতে ১৯৬৯ সালে এর সূচনা করেছিল যুক্তরাজ্যের বুকার ম্যাক কোলেন কোম্পানি।

মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতায় ছিল ১৫৩ টি ইংরেজি উপন্যাস। এসব ইংরেজি উপন্যাসের মধ্যে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে ছিল ভারতের কিরণ দেশাই ও অ্যান্ড্রু মিলারের লেখা দুটি উপন্যাস। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে এ পুরস্কার জিতেছে সজলের লেখা ‘ফ্লেশ’। লন্ডনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লেখককে ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও পুরস্কারের অর্থ ৫০,০০০ ব্রিটিশ পাউন্ড (৬৫,৫০০ মার্কিন ডলার) পেয়েছেন সজলে।

ডেভিড সজলে লেখা ‘ফ্লেশ’ তার ষষ্ঠ উপন্যাস। তার প্রথম উপন্যাস ‘লন্ডন এন্ড দ্য সাউথ ইস্ট’ ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তার উল্লেখযোগ্য আরেকটি উপন্যাস ‘অল দ্যাট মেন ইজ’। ২০১৬ সালে এ উপন্যাসটি ম্যান বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। এ উপন্যাসের জন্য ২০১৬ সালে তিনি গর্ডন বার্জ পুরস্কার জিতেছিলেন।

সজলের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পড়াশোনা করেন। লেখালেখি শুরু করেন ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে। তার উপন্যাসগুলোতে মানুষের অস্তিত্ব, সামাজিক অবস্থান, অভিবাসন, পুরুষত্ব ও আধুনিক জীবনের শূন্যতা নিয়ে গভীর অনুসন্ধান দেখা যায়।

‘ফ্লেশ’ উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ইস্তভান নামের এক কিশোর ছেলের অভিবাসী জীবন সংগ্রামকে কেন্দ্র করে। চুপচাপ স্বভাবের ইস্তভানের কাহিনি শুরু হয়েছে এক বড়ো বয়সি নারীর সঙ্গে সম্পর্ক দিয়ে। এরপর যুক্তরাজ্যে তার সংগ্রামী অভিবাসী জীবনযাত্রা এবং শেষ হয় লন্ডনের উচ্চবিত্ত সমাজের একজন সদস্য হিসেবে।

পুরস্কারের আয়োজনকারী লন্ডনের বুকার কমিটি বলেছেন, শ্রেণি, ক্ষমতা, অন্তরঙ্গতা, অভিবাসন ও পুরুষত্ব নিয়ে গভীর চিন্তাশীল লেখা ‘ফ্লেশ’। এটি একজন মানুষের জীবন ও গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতার গল্প তুলে ধরেছে।

এর আগে ২০২৪ সালে সামান্থা হার্ভে তার ‘অরবিটাল’ গল্পের জন্য বুকার পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এ পুরস্কার জিতেছেন সালমান রুশদি, ইয়ান ম্যাকম্যান, অরুন্ধতী রায়, মার্গারেট অ্যাটউড।

সূত্র : ইউরো নিউজ
কেএম

Read Entire Article