অস্ট্রেলিয়ার এক জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। অনলাইনে তাদের লক্ষাধিক ভক্ত রয়েছে। মূলত অস্ট্রেলিয়ার সরকার ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে। যা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। এ জন্যই তারা অস্ট্রেলিয়ায় থাকবেন না।
এম্পায়ার ফ্যামিলি নামে পরিচিত এই চার সদস্যের পরিবারে রয়েছেন দুই মা— বেক ও বেক লি, ১৭ বছর বয়সী ছেলে প্রেজলি এবং ১৪ বছর বয়সী মেয়ে শার্লট। তারা নিয়মিত তাদের দৈনন্দিন জীবনের ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করেন।
এক পোস্টে পরিবারটি জানিয়েছে, তারা ইন্টারনেটকে ভালো কাজের জন্য ব্যবহার করে এবং যুক্তরাজ্যে চলে গেলে তাদের মেয়ে শার্লট অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি চালিয়ে যেতে পারবে।
অস্ট্রেলিয়ার নতুন আইন অনুযায়ী, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, এক্স ও ইউটিউবকে বাধ্যতামূলকভাবে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে ১৬ বছরের নিচে কেউ নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে এবং বিদ্যমান অ্যাকাউন্টগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এই আইন তরুণদের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে তৈরি করা হয়েছে। আইন না মানলে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর উপর সর্বোচ্চ ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৩২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা হতে পারে।
তবে কীভাবে এই আইন কার্যকর করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সম্ভাব্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই, অভিভাবকের অনুমোদন এবং মুখ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি— যা গোপনীয়তা ও বয়স যাচাইয়ের নির্ভুলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
প্রথমদিকে ইউটিউবকে এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ রাখা হয়েছিল, কিন্তু এ বছর সরকার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। এখন থেকে ১৬ বছরের নিচের কিশোররা ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারবে, তবে নিজস্ব অ্যাকাউন্ট খুলে কনটেন্ট আপলোড বা মন্তব্য করা যাবে না।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশিত এক ভিডিওতে বেক বলেন, আমরা সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরোধী নই। আমরা বুঝি, এটি তরুণদের অনলাইন ক্ষতি থেকে রক্ষা করছে। কিন্তু আমরা ইন্টারনেটকে ভালো কাজে ব্যবহার করি।
বেকের স্ত্রী বেক লি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন অনেক বদলে গেছে, এবং তরুণদের অনেকেই এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
পরিবারের সবাই ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান দ্বৈত নাগরিক, ফলে যুক্তরাজ্যে তাদের বসবাসে কোনো আইনি জটিলতা নেই। তাছাড়া, মেয়ে শার্লট সম্প্রতি অনলাইন স্কুলিং শুরু করেছে, যার ফলে তারা যেকোনো জায়গা থেকে বসবাস ও কাজ করতে পারবে।
শার্লট, অনলাইনে চার্লি নামে পরিচিত, যার ইউটিউবে প্রায় ৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার, টিকটকে ৩ লাখ অনুসারী এবং ইনস্টাগ্রামে প্রায় ২ লাখ ভক্ত রয়েছে। তার সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন তার বাবা-মা।
পরিবারটির মূল জনপ্রিয়তা এসেছে ইউটিউব থেকে। ছেলেকে প্রেজলির চ্যানেলে ২.৮ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার, আর ‘এম্পায়ার ফ্যামিলি’ চ্যানেলে ১.৮ মিলিয়ন অনুসারী রয়েছে। তাদের ভিডিওতে মেকআপ টিউটোরিয়াল, গেমিং সেশন ও পারিবারিক ছুটির কনটেন্ট দেখা যায়।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম

16 hours ago
4









English (US) ·