আ.লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতার ৫ দিনের রিমান্ড

1 hour ago 5

লকডাউনকে কেন্দ্র করে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীমের পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম ফারহান ইশতিয়াক রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরপর ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের জোর দাবি জানান। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান-২ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালে ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ এমপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ইস্কান্দার মির্জা শামীম। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের স্যোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হয়ে ইস্কান্দার মির্জা শামীম তাদের দেওয়া কমসূচি পরিকল্পনাসহ বাস্তবায়নে সহায়তা করে থাকে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি বিভিন্ন ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত আছেন।

বুধবার রাত থেকে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করার জন্য ইস্কান্দার মির্জা তার ব্যবহৃত ফেইসবুক, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপস ব্যবহার করে তার কর্মীদের বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা ও সংবাদ বার্তা আদান প্রদানের তথ্য পাওয়া যায়। ইস্কান্দর মির্জা শামীম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যদের অর্থসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। গত ১০ নভেম্বর তার নির্দেশে অজ্ঞাতনামা সহযোগিদের সহায়তায় গুলশানের শাহাজাদপুর বাঁশতলার সামনে একটি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ইস্কান্দার মিজা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যদের অর্থ দিয়ে এবং প্ররোচনায় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। তিনি ও তার সহযোগীরা গাড়িতে আগুন দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। এ অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

Read Entire Article