আজ কাজ করলাম আর কাল হয়ে গেলো, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এভাবে কাজ করে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এফডিআইয়ের সংখ্যা এত ছোট যে ২০ ভাগ বৃদ্ধি বড় কোনো ব্যাপার না। বাংলাদেশ এফডিআই দ্বিগুণ, তিনগুণ, চারগুণ, পাঁচগুণ হতে হবে। ২০/৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের কিছু হবে না।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, এফডিআইকে পাঁচগুণ করতে হলে আপনাদের আসলে নাক-মুখ বন্ধ করে দুই তিন বছর খাটতে হবে। আজ কাজ করলাম আর কালকে এফডিআই হয়ে গেলো, এফডিআই এভাবে কাজ করে না।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাগো নিউজের এই প্রতিবেদক তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে, এফডিআই বৃদ্ধি পায়নি বরং কমেছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, আপনি একটা অফিসে আজ গেছেন, কাল যদি সংবাদপত্রের অফিসে সার্কুলেশন কমা শুরু করে, তাহলে কি আপনি বলবেন যে ওই অফিসে আপনি খাওয়া-দাওয়া একটু করেছেন বলে সার্কুলেশন কমে গেলো? একটা দেশে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই দেশের বিনিয়োগ কমে গেছে কথাটা সকালে চাঁদ উঠলে রাতে মাছ ধরা যাবে টাইপের হয়ে গেলো।
তিনি বলেন, আই ডোন্ট ইভেন ওয়ান্ট টু টক অ্যাবাউট ইট। আই থিঙ্ক যারাই নিউজটা করেছেন আইদার দে আর গ্রসলি ইগনোরেন্ট অর দে হ্যাভ রং ইনটেনশন।
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, আমরা গত এক বছর যাবৎ বলে আসছি যে, আজ যেই এফডিআইটা ঢুকলো, সেই এফডিআইয়ের পেছনে আমাদের অবদান সব না, এটা খুব নগণ্য। আমরা হয়তো এফডিআইটাকে শেষ ধাপটা ফ্যাসিলিটেট করার চেষ্টা করেছি। এফডিআইয়ের ডিসিশন হয় ২-৩ বছর আগে।
তিনি বলেন, আজ যে লালদিয়ার ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকার এফডিআই নিয়ে কথা বলছি, সেটি আমার আমলে দেখতে পাবেন না। এই এফডিআই ঢুকবে ২০২৬, ২০২৭, ২০২৮ সালে। তখন আপনারা এফডিআই চেয়ারম্যানকে বলবেন দারুন কাজ হয়ে গেলো। আসলে তো এফডিআইয়ের কাজ হলো এ বছর।
বিডা চেয়ারম্যান আরও বলেন, এফডিআই এক্সিকিউশন আসলে একটা ওভার নাইট আইডিয়া না। এটাকে স্লোলি বিল্ট করতে হবে। একটা ব্রিজ লাইন বিল্ড করে, ওটাকে ট্র্যাক করে একদিকে নিয়ে যেতে হবে।
আশিক চৌধুরী বলেন, এফডিআইয়ের ব্যাপারে একটাই ভালো কথা বাংলাদেশের মতো এরকম ইকোনমিক ক্রাইসিসের মধ্যদিয়ে কোনো দেশ যাওয়ার পরে সাধারণত এফডিআই অনেক ড্রপ করে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমরা দেখেছি গত বছরের তুলনায় একই সময়ের সঙ্গে কম্পেয়ার (তুলনা) করলে এফডিআই শতকরা ২০ শতাংশ বেড়েছে। সেটা আমাদের জন্য একটা সুখের খবর এই কারণে যে কমেনি।
তিনি বলেন, আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা যারা এ জিনিসটা জানেন-বোঝেন, যারা এটা নিয়ে কথা বলেন, প্লিজ লেটস নট কনফিউজড অ্যান্ড ডিমরালাইজড পিপল হু আর রিয়েলি ট্রাইং টু ওয়ার্ক হার্ড, লেটস বি কনস্ট্রাকটিভ।
এমইউ/ইএ/এএসএম

15 hours ago
5







English (US) ·