নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়ার একদম শেষ দিকে এসে যে তিনটি দল নিবন্ধন পেয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী)। দলটি দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর কাঁচি প্রতীকে নিবন্ধিত হয়েছে।
দলটির ভবিষ্যৎ, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, নির্বাচনসহ নানা বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন দলটির প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক হাসান আলী।
জাগো নিউজ: সম্প্রতি আপনারা রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়েছেন, কেমন অনুভব করছেন?
মাসুদ রানা: স্বাভাবিকভাবেই নিবন্ধন পাওয়ার অনুভূতি তো ভালো। কারণ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এটি। কয়েক মাসব্যাপী আমাদের সারাদেশের অসংখ্য নেতাকর্মী, সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমরা নিবন্ধনটা পেলাম।
নিবন্ধনের শর্ত অত্যন্ত কঠিন। নির্বাচন সংস্কার কমিশন যেটা গঠিত হয়েছিল তারা নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করার কথা বলেছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে একটা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে আমাদের এই নিবন্ধন পাওয়া। সেই জায়গা থেকে আমাদেরও একটা ভালো লাগার অনুভূতি আছে।
জাগো নিউজ: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সেটিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মাসুদ রানা: দেখেন, গণঅভ্যুত্থানের মূল কথা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। তো আমরা যদি এই সরকারের এই ১৪ মাস মূল্যায়ন করি তাহলে এটা বলা যায়, যে আকাঙ্ক্ষা থেকে গণঅভ্যুত্থান সংঘঠিত হয়েছিল সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়নি। গণহত্যা, হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রের সংস্কার, একটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে এগোনো এবং দেশের মানুষের যে জ্বলন্ত সংকট সেগুলো নিরসন হবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল।
কিন্তু আমরা দেখছি এই সরকার এই ১৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খুব ভালো উন্নতি ঘটাতে পারেনি। জনগণের সংকটগুলো নিরসন করতে পারেনি। আমরা শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও দেখেছি। কৃষকরা সার পাচ্ছে না। আলু তাদের ফেলে দিয়ে বিক্ষোভ করতে হচ্ছে। ফলে একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে যদি আমরা দেখি, তাহলে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের যে সংকট সেই সংকটগুলো নিরসনের ক্ষেত্রে সরকার গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেনি।
আরও পড়ুন
নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার সুযোগটা নেই
গণভোট আগে চাওয়া ব্যক্তিরা জাতীয় নির্বাচন পেছাতে চান
ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে, সজাগ থাকতে হবে
অলির এলডিপিতে ভাঙনের সুর
রাষ্ট্রের সংস্কারটা শুধু দেখেন আপনি, জুলাই সনদের নামে যেটা হলো সেটাও একটা জুডিশিয়ারি ব্যাপার, আইনি ব্যাপার, সংবিধানের ব্যাপারে চলে এসেছে। সামগ্রিক যে একটা পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল সেই পরিবর্তনের জায়গাটাতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমি মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের একটা বড় ব্যর্থতার জায়গা আছে।
জাগো নিউজ: গণতান্ত্রিক চর্চার যে ব্যাপারটা, এটা কি বিগত সরকারের সময় থেকে এই সরকারের আমলে উন্নতি হয়েছে?
মাসুদ রানা: আমরা তো একটা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের লড়াই করেছি বা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ফলে গণঅভ্যুত্থানের চাওয়াটা তো অনেক বড়। সেই চাওয়ার সঙ্গে আমরা যদি তুলনা করি তাহলে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কিছুটা তো স্পেস তৈরি হয়েছে। এটা স্বীকার করতেই হবে। মানুষ কথা বলতে পারবে, বিভিন্ন বিষয়ে আওয়াজ তুলতে পারবে, দাবি তুলতে পারবে, তার অধিকারের কথা বলতে পারবে- এটার জন্যই তো এত মানুষ জীবন দিলো, আহত হলো।
সেই দিকটা ঠিকই আছে। সেই অর্থে কিছুটা ডেমোক্রেটিক স্পেস তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশার জায়গাটা এতটুকু না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যে ধাপগুলো আরও অতিক্রম করা দরকার ছিল সেই জায়গাগুলোতে অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতার জায়গা সরকারের এখনো পর্যন্ত আছে।
জাগো নিউজ: রাষ্ট্রীয় যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, যেমন—নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে এ সরকারের আমলে?
মাসুদ রানা: গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটা সরকার গঠিত হবে এবং নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে- এটাই আমরা চেয়েছিলাম, এটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রধান যে তিনটি দল- বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি, তারা প্রত্যেকেই অভিযোগ করছে যে উপদেষ্টাদের মধ্যে তারা কেউ গণঅভ্যুত্থানের উপদেষ্টা নেই। তারা একেকটা দলের উপদেষ্টা হয়ে এখন অবস্থান করছেন। প্রশাসনেও সেগুলার ছাপ আমরা দেখতে পাচ্ছি।
প্রশাসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনাটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কে কোন দল করে সেটাকে বিবেচনা করা হয়েছে। কে বিএনপি করে, বিএনপির কোটায় কতজন। কোটার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। অথচ বিএনপির কোটা কতজন, জামায়াতের কোটায় কতজন, এনসিপির কোটায় কতজন- এ বিষয়গুলোই কিন্তু এখন একটা ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সেই জায়গা থেকে আমি তো মনে করি না যে এখানে পুলিশ প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশন খুব নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। এখানে বিভিন্ন দলের স্টেক ও বিভিন্ন এজেন্সির স্টেক হিসেবে তারা অবস্থান করছে।
জাগো নিউজ: আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু বা নিরপেক্ষ হওয়ার ব্যাপারে কোনো আশঙ্কা প্রকাশ করছেন?
মাসুদ রানা: যেহেতু গত ১৫ বছর বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি এবং রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিতে পারেনি, ওই অর্থে ধরতে গেলে আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা চাওয়া ছিল যে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার বলতে আমরা বলছি যে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে- এটাই আমাদের চাওয়া।
তো তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই নির্বাচন সম্পর্কিত অ্যাপ্রোচটা কী হবে? যেমন আমরা সব সময় বলি যে টাকার ব্যবহার, পেশিশক্তির ব্যবহারমুক্ত একটা নির্বাচন আমরা চাই। জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তার মতামত ব্যক্ত করতে পারে। অথচ আপনারা দেখবেন যে জামানতের টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে খুব স্পষ্টতা তৈরি করা হয়নি। ফলে একটা বিপদের দিক থেকেই যাচ্ছে। কারণ আমরা তাহলে দেখবো যে নির্বাচনে যাদের টাকা আছে, তাদের পেশিশক্তি আছে তারাই কিন্তু প্রভাব বিস্তার করবে।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমাদের সরকার কিন্তু ইতোমধ্যে তাদের ভূমিকার কারণে নিরপেক্ষতা অনেকটা হারিয়েছে। তারা বিভিন্ন দলের উপদেষ্টা হয়ে অবস্থান করছে। এখানে কিছু দলকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অন্য দলের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। পুলিশও খুব নিরপেক্ষ অবস্থান বা ভূমিকা পালন করতে পারছে না। সেই জায়গা থেকে কিন্তু আমাদের একটা আশঙ্কা আছে যে নির্বাচনটা আসলে কতটুকু অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক হবে।
জাগো নিউজ: গণভোট, জুলাই সনদ নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে এই মুহূর্তে। আসলে আপনার দল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের (মার্কসবাদী) অবস্থান কী?
মাসুদ রানা: জুলাই সনদ তৈরির জন্য ঐকমত্য কমিশন যে সভাগুলা করলো ধারাবাহিকভাবে সেই সভায় আমরা অংশগ্রহণ করেছি। আমি নিজে দলের পক্ষ থেকে সেখানে অবস্থান করেছি। আমরা আমাদের মতামত সেখানে রেখেছি, তর্ক-বিতর্ক করেছি। আমরা চেয়েছিলাম রাষ্ট্রের একটা গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য এ উদ্যোগ কত বেশি কার্যকরী করা যায়। কিন্তু দেখলাম এখানে সবশেষ যে জায়গাটা তৈরি করা হলো রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্টকে কাউন্ট করা হচ্ছে না, অ্যাড্রেস করা হচ্ছে না।
আমাদের আরও কিছু জোরালো আপত্তি ছিল। যেমন, রাষ্ট্রের চার মূলনীতি নিয়ে আমাদের বামপন্থি দলগুলোর জোরালো আপত্তি ছিল। তো এ বিষয়গুলো একটা বিভাজনের জায়গা তৈরি করছে। বিশেষ করে নোট অব ডিসেন্টকে অ্যাড্রেস না করা। এ কারণে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করিনি। এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে যে প্রস্তাবনাটা দেওয়া হলো সেটা স্বাভাবিকভাবে আরও বিভাজনের জায়গা তৈরি করেছে।
এগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা মনে করি, জুলাই সনদের যতটুকু অগ্রগতি আমাদের হয়েছিল সেক্ষেত্রে একটা বড় বিভাজনের জায়গায় তৈরি করেছে এবং অনৈক্যের জায়গা তৈরি করেছে বলে আমরা মনে করি। সেটা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য একটা সংঘাতের জায়গা তৈরি করতে পারে।
জাগো নিউজ: নির্বাচনে তো আপনারা অংশগ্রহণ করছেন। কোনো জোটের সঙ্গে যাচ্ছেন কি?
মাসুদ রানা: আমরা তো একটা জোটেই আছি। বামপন্থি দলগুলোর একটা জোট আছে, বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং আমরা বাম গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর একটা ঐক্যবদ্ধ বলয় তৈরি করার চেষ্টাও করছি। এখানে জামায়াতে ইসলামী বা বিএনপির বাইরে যে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো আছে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনকেও যুক্ত করা যায় কি না সে আলোচনা আমাদের হচ্ছে। আগামী ১৫ নভেম্বর আমরা একটা কনভেনশনও করবো। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবো। এটাই আমাদের এখন পর্যন্ত অবস্থান।
জাগো নিউজ: বিএনপি-জামায়াতের বাইরে গিয়ে যে শক্তিশালী জোটের কথা বলা হচ্ছে, এটা আসলে গঠন করা কতটুকু বাস্তবসম্মত?
মাসুদ রানা: আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ভয়েস থাকাটা অনেক জরুরি। বিএনপি এক ধরনের রাজনীতি এতদিন করেছে এবং তারা ক্ষমতায়ও ছিল। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল দেশ শাসন করার অবস্থা আমরা দেখেছি। জামায়াত আমাদের দেশে একটা গণহত্যাকারী শক্তি, যুদ্ধাপরাধী। এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে তারা এটার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমা চাওয়ার কোনো ধরনের উদ্যোগ দলগতভাবে নেয়নি। ফলে আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে এবং বৈষম্য বিলোপের রাজনীতির পক্ষে যে জনগণের একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, সেই জায়গায় একটা বড় সম্ভাবনার জায়গা অবশ্যই আছে।
এই রাজনীতির বাইরে মানুষের কিন্তু একটা চাওয়ার জায়গা আছে এবং বিএনপির প্রতি ওই ধরনের আস্থা মানুষের আছে এটা কিন্তু আমরা দেখি না। জামায়াতের প্রতিও সে ধরনের আস্থা নেই। স্বাভাবিকভাবে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। আমরাও সেই জায়গা তৈরি করতে পারছি, এটাও বলা যায় না। কিন্তু আমরা মনে করি রাজনৈতিক শূন্যতায় মানুষের পক্ষে দাঁড়ানো, মানুষের পক্ষে যদি আমরা লড়াই করি তাহলে সত্যিকার অর্থে সেটার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে একটা জনগণের রাজনৈতিক শক্তি দাঁড়ানোর একটাই পথ।
জাগো নিউজ: যদি নির্বাচনি প্রক্রিয়া আবারও বিতর্কিত হয় সামনের দিনে, আপনার দল আসলে পরবর্তীসময়ে কোন পথে এগোবে?
মাসুদ রানা: না, নির্বাচন কোনোভাবেই বিতর্কিত হতে দেওয়া যাবে না। কারণ নির্বাচন বিতর্কিত হলে বাংলাদেশে আমরা কিন্তু একটা খুবই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পড়ে যাবো। ফলে দেশের একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে যদি অব্যাহত রাখতে হয়, তার জন্য একটা সুষ্ঠু নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি এজন্য সবার কাছে আহ্বান করবো, জনগণের কাছে বা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি, নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। সেটার জন্য আমরা অবশ্যই আমাদের দিক থেকে যত ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার, নেবো। মাঠের কর্মসূচি রাখা, জনগণকে সে ব্যাপারে সচেতন করা, এ কাজগুলো করতে হবে। কোনোভাবেই নির্বাচনের জায়গাটাকে ব্যাহত হতে দেওয়া যাবে না।
জাগো নিউজ: একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার পর আপনাদের একটি নতুন পথচলা শুরু হলো। আপনার দলকে অদূর ভবিষ্যতে আপনি কোথায় দেখতে চান?
মাসুদ রানা: বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের পক্ষে আমরা লড়াই করছি। জনগণের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তার অধিকার আদায় হচ্ছে। সেই জায়গায় আমরা সোচ্চার থাকছি। সারাদেশে যেখানেই মানুষের ওপর অত্যাচার আছে, মানুষের ওপর জুলুম, মানুষের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, শ্রমিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে, কৃষক তার অধিকার পাচ্ছে না- আমরা চাই সেই মানুষদের পক্ষে দাঁড় করাতে। আমরা মানুষের সামনে একটা আন্দোলনের পার্টি হিসেবে দাঁড়াতে চাই। মানুষের অধিকারের পক্ষে লড়ছে এই দল, এই জায়গাটা আমরা বাংলাদেশে তৈরি করতে চাই।
জাগো নিউজ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মাসুদ রানা: জাগো নিউজকেও ধন্যবাদ
এমএইচএ/এএসএ/এএসএম

10 hours ago
8









English (US) ·