ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দাবিতে ইন্তিফাদার বিক্ষোভ

2 weeks ago 15

ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

উগ্র হিন্দুত্ববাদ, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষপাতপূর্ণ আচরণ, ইসলাম অবমাননা ও রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংগঠনটির অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- গাজীপুরে ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের প্রতি দোষারোপ বন্ধ করে পুলিশ ও প্রশাসনের আচরণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষক এবং সহায়তাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। টঙ্গি এলাকায় অপহরণ-হত্যার ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ‘কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ’ ও ইসলামবিদ্বেষী আচরণ রোধে একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও রক্ষা ব্যবস্থাসহ আইনি কাঠানো গঠন করতে হবে। ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন
অপহরণের পরদিন শিকলবাঁধা মুফতি মহিবুল্লাহ উদ্ধার
ইসরায়েলের পশ্চিম তীর দখল নীতির কঠোর নিন্দা বাংলাদেশের

বিক্ষোভ সমাবেশে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মেহেদী হাসান, সদস্য আহমেদ রফিক, ইসলামি বক্তা মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রহমানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ইসকন নিষিদ্ধ করাসহ টঙ্গীতে ইমাম গুমের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতার, গাজীপুরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও দেশের নাজুক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদ জানান। এ সময় বক্তারা নানান স্লোগান দেন।

ইন্তিফাদা বাংলাদেশের সদস্য আহমেদ রফিক বলেন, এক খতিব ইসকনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে অপহরণ করা হয়। এমন ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। কিন্তু বিপরীতে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? আমরা বিপরীতে দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্র চুপ করে তামাশা দেখছে। প্রশাসন অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আয়োজন করছে। সুশীল সমাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ দায় নিতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ আবার ইসলামি রাজনীতির কথা বলেন। কিন্তু যখন কোরআন অবমাননা হয়, যখন রাসুলের অবমাননা হয়, যখন মুসলিম নারীদের নিশানা বানানো হয়- তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।

মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রহমানী বলেন, ইসকন কোনো হিন্দু সংগঠন নয়। এটি ইহুদিদের তৈরি চরমপন্থি সংগঠন। এরা একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে।

ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মেহেদী হাসান বলেন, আমরা বিচার চাইতে এসেছি। সরকার বিচার করলে আমরা শান্ত থাকবো। কিন্তু আমরা বিচারের নামে প্রহসন দেখছি। এসব ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো বিবৃতি দেখছি না।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ তারা একটি মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যান।

এসএম/কেএসআর/এএসএম

Read Entire Article