ইসলামী ছাত্রশিবির হঠাৎ করেই জনপ্রিয়তা পায়নি : শিবির সভাপতি

23 hours ago 6

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবির হঠাৎ করেই জনপ্রিয়তা পায়নি। ১৯৭৭ সাল থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছে ইসলামের আহ্বান পৌঁছানো এবং প্রত্যেককে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাগর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত ২৩৪ জন শিবিরকর্মী শাহাদাতবরণ করেছেন, শত শত কর্মী গুম হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গার পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়াকে গুমের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। এখনও আমাদের সাতজন ভাই নিখোঁজ আছেন। এত নির্যাতন সত্ত্বেও আমরা আমাদের আদর্শ ধরে রেখেছি এবং ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির বড় ধরনের বিজয় অর্জন করেছে। ছাত্রসমাজ আমাদের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস দেখিয়েছে, তা আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা কোনো উল্লাস বা মিছিল না করে, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। আমাদের এই বিজয় তখনই সার্থক হবে, যখন শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পারব।

সভায় কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, এক সময় ছাত্র রাজনীতি মানেই ছিল চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সহিংসতা। কিন্তু আজ বাংলাদেশের ছাত্ররা সেই রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা চাই ছাত্র রাজনীতি হোক সেবামূলক, শিক্ষাবান্ধব ও কল্যাণমুখী; উন্নত বিশ্বের মতো দেশের ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে, আর তা গণভোটের মাধ্যমে করা শ্রেয়। আমরা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই, তবে তা যেন জাতীয় নির্বাচনের প্রভাবে না পড়ে।

সভাটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আমিরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াত মনোনীত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু মুসা।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা সভাপতি হুমায়ুন কবির শান্ত, মো. আরিফুল ইসলাম, জেলা অফিস সম্পাদক হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, জেলা অর্থ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী, জেলা সাহিত্য সম্পাদক আবু রায়হান, জেলা দাওয়াহ সম্পাদক পারভেজ আলমসহ বিভিন্ন থানার সভাপতি ও পাঠচক্র সদস্যবৃন্দ।

হুসাইন মালিক/কেএইচকে/জেআইএম

Read Entire Article