ইসলামে নারীর আর্থিক নিরাপত্তা

16 hours ago 4

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি আলোচক ড. জাকির নায়েক এক বক্তব্যে নারীর আর্থিক নিরাপত্তা ও কাজের স্বাধীনতার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ওই বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তার বক্তব্যের সারাংশ তুলে ধরছি।

ইসলামে নারী আর্থিকভাবে নিরাপদ

ডা. জাকির নায়েক বলেন, ইসলামে একজন নারী জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আর্থিকভাবে নিরাপদ। তিনি কাজ না করলেও তার জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার দায়িত্ব পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ওপর বর্তায়। নারী অবিবাহিত থাকলে তার বাবা ও ভাইয়ের দায়িত্ব তার খাওয়া, থাকা, পোশাকসহ সব খরচ বহন করা। আর বিবাহিত হলে এই দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য থাকেন তার স্বামী ও সন্তান। এমনকি যদি নারী নিজে উপার্জন করেন, তবুও তাকে পরিবারের খরচে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা যায় না। তিনি চাইলে নিজের উপার্জন নিজের জন্যই রাখতে পারেন।

ইসলামে নারীর কাজ করার স্বাধীনতা

ইসলামে নারীর কাজ করার স্বাধীনতা রয়েছে উল্লেখ করে ডা. জাকির নায়েক বলেন, নারীর জন্য কাজ করা বা কোনো পেশা গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু যদি কোনো নারী নিজের ইচ্ছায় কাজ করতে চান, তাহলে তাকে বাধা দেওয়া যাবে না। তবে তার কাজ অবশ্যই ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী হতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নারীরা যদি কাজ করেন, তাহলে তারা পুরুষের সমান পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।

হালাল পেশা গ্রহণ করতে হবে

ডা. জাকির নায়েক বলেন, ইসলামে নারীর জন্য এমন কোনো পেশা গ্রহণ করা নিষিদ্ধ যেখানে তাদের শরীরকে প্রদর্শনের বিষয় ও পণ্য বানানো হয় যেমন মডেলিং, নৃত্য বা চলচ্চিত্রে অভিনয় ইত্যাদি। একইভাবে পুরুষদের জন্যও নিষিদ্ধ পেশা রয়েছে, যেমন মদ পরিবেশন, জুয়া খেলা, সুদভিত্তিক ব্যাংকে চাকরি বা দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ইত্যাদি।

নারীর হালাল পেশা গ্রহণের দৃষ্টান্ত হিসেবে উম্মুল মুমিনিন খাদিজার (রা.) কথা উল্লেখ করেন ডা. জাকির নায়েক। তিনি বলেন, খাদিজা (রা.) ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি নারীদের শিক্ষকতা, নার্সিং, চিকিৎসা ইত্যাদি পেশায় উৎসাহিত করেন। এ ছাড়া ঘরে বসে সেলাই, এমব্রয়ডারি ইত্যাদি কাজও নারীরা করতে পারেন—বলেন ডা. জাকির নায়েক।

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান মোহর

ডা. জাকির নায়েক কোরআনের সুরা নিসার ৪ নং আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, বিয়ের সময় নারীদের মোহর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। তিনি ভারতীয় সমাজে প্রচলিত যৌতুক প্রথার সমালোচনা করে বলেন, সেখানে উল্টো বরপক্ষ কনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করে, যা ইসলামের শিক্ষার পরিপন্থি।

মোহরের বিধান পালন করার ক্ষেত্রে ভারতের মুসলমানমদের মধ্যেও ভুল চর্চা রয়েছে উল্লেখ করে ডা. জাকির নায়েক বলেন, ভারতের অনেক মুসলমান পরিবারেও মোহর হিসেবে নামমাত্র অর্থ নির্ধারণ করা হয়—যেমন ৫০০ বা ৭৮৬ রুপি—যা দিয়ে এক জোড়া জুতা পর্যন্ত কেনা যায় না। তিনি এই চর্চাকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে বিচ্যুতি বলে অভিহিত করেন।

ওএফএফ

Read Entire Article