আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে উপদেষ্টাদের অংশগ্রহণের পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছেন আমজনতার সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান। তিনি বলেন, উপদেষ্টারা যদি নির্বাচনে আসতে চান, তবে আগে পদত্যাগ করে অন্তত পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। জনগণের আন্দোলনের ফসল কেউ ভাগাভাগি করতে পারবে না।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরোধিতা ও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক জোট।
এতে তারেক রহমান বলেন, জুলাই আন্দোলন উপদেষ্টাদের ভাগ-বাটোয়ারার জন্য হয়নি, হয়েছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সরকার গঠনের পর চুক্তি ভঙ্গ করে অনেক উপদেষ্টা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে লন্ডনের মিটিংয়ে নাকি ছাত্র উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এর মানে কি তাদের এমপি বানানোর পরিকল্পনা চলছে? উপদেষ্টারা কি শেখ হাসিনার মতো হতে চান? শেখ হাসিনা যেমন নিজেই নির্বাচনের আয়োজক ও প্রার্থী, তারাও এখন সেই পথেই হাঁটছেন।
তারেক রহমানের অভিযোগ, কিছু উপদেষ্টা লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছেন। নাহিদ ইসলাম যখন উপদেষ্টার পদ ছাড়েন, তখন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল ৩০ হাজার টাকা, বিকাশে ১০ হাজার টাকা। সেই টাকাতেই তিনি সাত মাস ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন, তবু টাকা শেষ হয় না।
আরও পড়ুন:
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের বিষয়টি সঠিক নয়: এনসিপি
নির্বাচনে জোট গঠনের পরিকল্পনা আছে এনসিপির
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন বলেন, একদল নেতা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। কিন্তু যে দেশ ফেলানিকে ঝুলিয়ে রাখে, সীমান্তে আমাদের মানুষ হত্যা করে, তারা বন্ধু হতে পারে না। উপদেষ্টাদের বলবো, আপনারাও যদি ভারতপ্রীতি করেন, শেখ হাসিনার মতো আপনাদেরও পতন হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামী লীগকে আবারও প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। যারা আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে, তাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতোই হবে।
তিনি আরও বলেন ,ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনি দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
বক্তারা আরও দাবি জানান, যুবকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা বাতিল এবং গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে।
বিক্ষোভে বেকার মুক্তি পরিষদের চেয়ারম্যান আতিক রাজা, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এসএনআর/এমএস

2 weeks ago
11









English (US) ·