এজিয়ান সাগরে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীর। মারা গেছেন এক মানবপাচারকারীও। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের উপকূলরক্ষী বাহিনী।
তুরস্কের স্থানীয় গভর্নর কার্যালয়ের বরাতে বলা হয়েছে, এক অভিবাসনপ্রত্যাশীর ফোনকল পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন>>
এজিয়ান সাগরে নৌকা ডুবে ২১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: নারী-শিশুসহ ৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার
ভূমধ্যসাগর থেকে ৩০ বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ৫১, নিহত ১০
উদ্ধার হওয়া এক আফগান অভিবাসনপ্রত্যাশী জানান, নৌকাটি পানি ঢোকার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ডুবে যায়। তিনি ছয় ঘণ্টা সাঁতার কেটে সেলেবি দ্বীপে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ এখনো নিখোঁজদের সন্ধান চালাচ্ছে। চারটি কোস্টগার্ড নৌকা, একটি বিশেষ ডাইভিং টিম এবং একটি হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
বোদরুম শহরটি গ্রিসের কোস দ্বীপ থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ পথটি বহু বছর ধরেই ইউরোপে প্রবেশের আশায় অভিবাসীদের জন্য অন্যতম বিপজ্জনক রুট হিসেবে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এক চুক্তিতে তুরস্ক অবৈধ অভিবাসন রোধে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। বর্তমানে দেশটিতে সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আসা প্রায় ২৫ লাখেরও বেশি শরণার্থী অবস্থান করছে।
সূত্র: এএফপি
কেএএ/

2 weeks ago
16









English (US) ·