কিশোরগঞ্জে রেললাইনের ফিশপ্লেট চুরির অভিযোগে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের ৬ কর্মচারীকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে।
গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রেলওয়ের ভৈরববাজার ঘাটের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে পাঁচজনকে নরসিংদীতে ও একজনকে কিশোরগঞ্জে বদলি করা হয়।
তারা হলেন, কিশোরগঞ্জ রেলপথের ৭ নম্বর গ্যাংয়ের কি-ম্যান মো. শফিকুল ইসলাম (একই পদে), ৪ নম্বর গ্যাংয়ের ওয়েম্যান মো. শাহীন আলী শাহ (কি-ম্যান পদে), ৪৮ নম্বর গ্যাংয়ের ভারপ্রাপ্ত কি-ম্যান হারুন মিয়া (ওয়েম্যান পদে), ৭ নম্বর গ্যাংয়ের ওয়েম্যান সালাউদ্দিন ও মাহমুদুল হাসান (একই পদে নরসিংদীতে বদলি), ৭ নম্বর গ্যাংয়ের ওয়েম্যান মো. আবুল কাহার ভূঁইয়া (কিশোরগঞ্জে ৭ নং গ্যাংয়ের ভারপ্রাপ্ত কি-ম্যান হিসেবে)।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, বদলী করা কর্মচারীরা তিন কর্মদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে ২৯ অক্টোবর থেকে তাদের বর্তমান কর্মস্থলে অবমুক্ত বলে গণ্য করা হবে।
সূত্রে জানা গেছে, বদলীকৃত কর্মচারীরা ইতোমধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে রেলওয়ের কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বদলির আদেশ স্থগিতের চেষ্টা চলছে।
রেলওয়ের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফিশপ্লেট ও গাছ চুরির ঘটনায় জড়িতদের বদলির পরই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আদেশ স্থগিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাদের অভিযোগ, প্রধান প্রকৌশলী ও সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা এতে জড়িত।
এ বিষয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হাসান বলেন, ছয় কর্মচারীকে বদলি করার পর প্রধান প্রকৌশলী আমাকে ফোন করে আদেশ স্থগিত করতে বলেন। টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
তিনি আরও জানান, আজ (৩০ অক্টোবর) বদলি স্থগিতের কথা থাকলেও বিকেলে বিভাগীয় প্রকৌশলী জানিয়েছেন, আপাতত আদেশ স্থগিত করা হচ্ছে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. তানভিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত ২২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের ওয়েম্যান সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ৬৮ নম্বর গেট থেকে রেললাইনের জয়েন্ট পরিবর্তনের দুটি ফিশপ্লেট চুরি ও এক ব্যক্তির জমি থেকে গাছ চুরির অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ কর্মচারীকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়।
এসকে রাসেল/আরএইচ/জিকেএস

10 hours ago
5









English (US) ·