কুয়াকাটায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত শতাধিক

5 days ago 18

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। নতুন করে আরও দুই ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এলাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ মৃতরা হলেন—খাজুরা এলাকার চান মিয়া ফকিরের ছেলে নুরজামাল ফকির এবং মিশ্রীপাড়া এলাকার হাবিব। 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর থানার লতাচাপলি ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য রাহিমা আক্তার রুপা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে দুজনই মারা যান।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর মহিপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই নারী, এক শিশু ও এক অন্তঃসত্ত্বাসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

আরও পড়ুন : নিজেরা ফাঁস করা প্রশ্নে চাকরি পেয়ে যোগ দেন চক্রে

বর্তমানে মহিপুর ও আশপাশের এলাকায় অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী কালবেলাকে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। জনসচেতনতা বাড়াতে আমরা মাইকিং ও প্রচারণা চালাচ্ছি। ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে নিজ নিজ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার মধ্যে মহিপুর ও কুয়াকাটা সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। হাসপাতালে মহিপুর থানার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০ জন ভর্তি রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার হামিদ কালবেলাকে বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনাগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন স্প্রে করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাড়িঘর পরিষ্কার রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, এলাকাজুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

Read Entire Article