খালেদা জিয়ার নাম ব্যবহার করে প্রতারণার ৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত

2 weeks ago 9

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার লিয়াজোঁ অফিসার পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ অর্জন করেন মোতাল্লেছ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এবার তার ৫ কোটি টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এই বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আসামির বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। পল্লবী থানায় প্রতারক মোতাল্লেছ হোসেনের নামে করা মানি লন্ডারিং মামলার অগ্রগতি হিসেবে সিআইডির প্রচেষ্টায় এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হলো।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান আরও জানান, আসামির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের স্থিতি প্রায় ৫ কোটি টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। যা ইতিপূর্বে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রিজ করা ছিল। আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে একটি, সিটি ব্যাংক পিএলসিতে দুটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসিতে দুটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে দুটি ও সোনালী ব্যাংক পিএলসিতে একটি অর্থাৎ অভিযুক্তের মোট আটটি অ্যাকাউন্টে এই অর্থ সংরক্ষিত ছিল।

সিআইডির তদন্তে উঠে আসে, মোতাল্লেছ হোসেন নিজেকে খালেদা জিয়ার লিয়াজোঁ অফিসার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তদন্তকালে আরও প্রকাশ পায়, মোতাল্লেছ হোসেনের নামে থাকা এমএল ট্রেডিং নামক প্রতিষ্ঠানটি বাস্তবে অস্তিত্বহীন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও, বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যক্রম বা ঠিকাদারি ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পাওয়া যায়নি।

সিআইডির কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন খান বলেন, মোতাল্লেছ হোসেন নিজেকে কখনো গার্মেন্টস মালিক, কখনো চা-বাগানের উদ্যোক্তা বা ঠিকাদারি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। তার নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে তিনি বিএনপির দলীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে তার নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন এবং তা আত্মসাৎ করেন।

টিটি/এমএমকে

Read Entire Article