খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দপ্তরের ভিতরে এবং বাইরে বিভিন্ন স্থানে ঘুস আদান-প্রদানে নিরুৎসাহিত করে একাধিক ব্যানার টাঙানো হয়েছে। ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘ঘুস কে না বলুন’, ‘শুধু দেখবেন না , যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করুন’। এছাড়া ব্যানারে দেয়া রয়েছে চেয়ারম্যান এবং সচিবের মোবাইল ফোন নম্বর। কেউ ঘুস চাইলে চেয়ারম্যান এবং সচিবকে অবগত করতেও বলা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ঘিরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের প্লট বরাদ্দ, প্লট হস্তান্তর, উত্তরাধিকার কিংবা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত প্লটের নামজারি এবং নকশা অনুমোদনের জন্যও হয়রানির শিকার হয়ে মোটা অংকের টাকা গুনতে হয়। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও সিন্ডিকেট এবং অসাধু কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্য কমেনি। এমনকি ঠিকাদারি কাজ নিয়েও হয়েছে দুর্নীতি-অনিয়ম। খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক নির্মাণে কাজ না করেই ৭০ কোটি টাকা বিল উত্তোলন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ট্রেডার্স। জবাবদিহিতা না থাকায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মূল ভিত্তিই এখন বিপর্যস্ত।
কেডিএ সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের সময়কালে কেডিএ-তে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। বিভিন্ন টেন্ডারে হয়েছে অনিয়ম। নকশা পাশ থেকে শুরু করে সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের সেবা নিতেও ঘুস গুনতে হয়েছে। বিভিন্ন ইমারতের প্লান পাশ এবং অভিযোগ ঘিরে কেডিএ’র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পদে বিগত দিনে বসে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা মোটা অংকের বিনিময়ে জুলুম চালিয়েছে।
৫ আগস্টের পর আওয়ামী নেতারা কেডিএতে না আসলেও দপ্তরের একাধিক দুর্নীতিবাজ অসাধু কর্মকর্তা রয়ে গেছে। যারা এখনো সক্রিয়। অসাধু কর্মকর্তাদের দুর্নীতি রোধে কেডিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান ‘ঘুস কে না বলুন , শুধু দেখবেন না , যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করুন’ লিখে ব্যানার ঝুলিয়েছেন। নিজের নম্বরও দিয়েছেন।
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাংগীর হোসেন বলেন, সেবা প্রদানে কেডিএ সংশ্লিষ্ট কেউ অর্থ চাইলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া কেউ হয়রানির শিকার হলে কর্তৃপক্ষের নিকট সরাসরি জানানোর জন্য তিনি আহ্বান করেন।
আরিফুর রহমান/এনএইচআর/এমএস

4 days ago
5









English (US) ·