গণঅধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

2 weeks ago 16

গণঅধিকার পরিষদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুর হয় ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর। তবে এর মূল ভিত্তি ছিল ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের নেতৃত্বেই গড়ে ওঠে গণঅধিকার পরিষদ। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার, জাতীয় স্বার্থ- এই চার মূলনীতি নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার দিনই দলটি ২১ দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করে। যেই ২১ দফা ছিল দলটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। গণঅধিকার পরিষদের স্লোগান, ‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’।

দলটিতে দুই স্তর বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে- উচ্চতর পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদ। সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় বিস্মৃত রয়েছে, কোথাও কোথাও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও কমিটি আছে। দলটির সভাপতি সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন রাশেদ খাঁন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দলটি ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পায়। গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন হিসেবে রয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ,বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ নারী অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ।

দল গঠনের আগে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ বিভিন্ন জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে রাজপথে ছিল। এসবের মধ্যে রয়েছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ, কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, মোদির আগমনবিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি। মোদির আগমনবিরোধী আন্দোলন করায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ৫৪ জন নেতাকর্মী কারাবরণও করেন। ২০২৩ সালে আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের সময় ছাত্রলীগ হামলা করে এবং সেখান থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।

বিগত স্বৈরাচারের আমলে নানা যৌক্তিক দাবিতে সরব ছিল গণঅধিকার পরিষদ। সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকায় নানাভাবে হামলা-মামলারও শিকার হতে হয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এবং কারাবরণ করতে হয়েছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০১৮ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন-২০২৪ এবং একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথচলার সংগ্রামী সারথি গণঅধিকার পরিষদ আজ তাদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে।

এএমএ/এমএস

Read Entire Article