যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর পল্টনে গণসমাবেশ করবে। এ সমাবেশে হাজার হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা করছে দলগুলো। তাদের এ কর্মসূচির সময় আজ দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।
সোমবার (১০ নভেম্বর) এ সমাবেশ সামনে রেখে পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করেন আট দলের নেতারা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশার কথা জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। লোকে লোকারণ্য হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজধানী এবং আশপাশের মানুষই এতে যুক্ত হবে। আমরা দেশব্যাপী সমাবেশের ডাক দিতে পারতাম। তবে আগামীকাল শুধু রাজধানী ও আশপাশের জনবল নিয়েই সমাবেশ হবে। এতে যদি সরকার বুঝতে পারে, তাহলে আশা করি এই সমাবেশেই একটা বড় ধরনের মতামত উঠে আসবে।
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে নিজেদের কর্মসূচি প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমাদের আন্দোলনের চতুর্থ পর্ব শেষ হয়ে পঞ্চম পর্ব চলমান। গত ৬ তারিখ আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে ১১ নভেম্বর আমরা গণসমাবেশ ঘোষণা করেছিলাম। আমরা জনগণের কিছু মৌলিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। এটা কোনো জোট নয়, এটা আন্দোলনের একটা প্ল্যাটফর্ম।
তিনি জানান, তারা জনদুর্ভোগ সবসময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। সমাবেশ ঘিরে দুর্ভোগের কথা তারা বিবেচনা করেছেন। তাদের কর্মসূচির সময় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের আলোচনা নিয়ে এ নেতা বলেন, তারা জামায়াতের ডাকে সাড়া দেবেন না, ওনারা এটা প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন। আমরাও প্রকাশ্যে বলে দিলাম, ওনারা আমাদের ডাকুক, আমরা অবশ্যই সাড়া দেবো। আমরা আলোচনা এবং আন্দোলন উভয় চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা বিফলে গেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা ভেস্তে যায়নি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সনদ তৈরি এবং স্বাক্ষরিত হয়েছে। মূলত সনদ নিয়ে নয়, সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণভোট সংবিধানে ছিল, ফ্যাসিস্টরা বাদ দিয়েছে। যারা সংবিধানে গণভোট নেই বলে বলছেন, তারা ফ্যাসিস্টের কাজকে সমর্থন করছেন। সংবিধানে পাঁচ বছর পর নির্বাচনের কথা আছে। তাহলে কি সংবিধান অনুযায়ী ২৬ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা? বর্তমান সরকারও তো সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা পায়নি।
এএমএ/জেআইএম

2 hours ago
4









English (US) ·