গণশুনানিতে প্রাথমিকের দুই প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের আদেশ দুদকের

11 hours ago 5

পঞ্চগড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী ও দপ্তরি নিয়োগের আশ্বাসে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরের পর স্থানীয় সরকারি অডিটোরিয়ামে দুদকের গণশুনানিতে তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই আদেশ দেন দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।

ওই দুই শিক্ষক হলেন- পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হায়াত বাবুল ও বুড়িরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝরেন রায়।

কমিশনে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হায়াত বাবুল ভুয়া সার্কুলার দিয়ে নৈশপ্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে আল আমিন নামে এক ব্যক্তির থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও ৮০ হাজার টাকা আর ফেরত দেননি।

এ ঘটনায় দুদকের গণশুনানিতে এই অভিযোগ তোলেন আল আমিন। অভিযোগের শুনানিতে ওই প্রধান শিক্ষক টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন কমিশন। একই সঙ্গে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আল আমিনের পাওনা ৮০ হাজার টাকা তাকে না দিয়ে সরকারি কোষাগারে ডিসেম্বরের মধ্যে জমা করারও আদেশ দেওয়া হয়।

এদিকে ৪ বছর আগে বুড়িরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নাসরিন আক্তার নামের এক নারীর থেকে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নেন প্রধান শিক্ষক ঝরেন রায়। ৪ বছর তার ঘুরেও টাকা ফেরত পাননি ওই নারী। তবে দুদকের গণশুনানিতে অভিযোগ জমা দেওয়ার খবর শুনে তড়িঘড়ি করে শুক্রবার সব টাকা ফেরত দেন ওই প্রধান শিক্ষক। গণশুনানিতে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করায় তাকেও সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন কমিশন।

পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ আহম্মেদ বলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গণশুনানিতে দুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সরাসরি সাময়িক বহিষ্কার করতে পারি না। তাই অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

সফিকুল আলম/এমএন/এএসএম

Read Entire Article