শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। ইনজুরির কারণে অ্যাশেজে খেলতে পারবেন না হয়তো অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অবশেষে সে শঙ্কাই সত্যি হলো। পিঠের ইনজুরির কারণে পার্থে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। তবে কামিন্স এই সপ্তাহেই বোলিং অনুশীলন শুরু করবেন, যাতে দ্বিতীয় টেস্টে (ব্রিসবেন, ৪ ডিসেম্বর) ফিরতে পারেন।
প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ নভেম্বর। প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ান দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা সময়ের সঙ্গে আর পারলাম না। আগেই বলেছিলাম যে কামিন্সকে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হতে চার সপ্তাহের মতো সময় লাগবে, কিন্তু সময় শেষ হয়ে গেছে। তবে আমরা খুবই আশাবাদী যে তিনি দ্বিতীয় টেস্টে ফিরবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন মূল বিষয় হচ্ছে তিনি বোলিং শুরু করার পর কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে ব্রিসবেন টেস্টে তার ফেরা সম্ভব হতে পারে।’
ম্যাকডোনাল্ড জানান, কামিন্সের চোটের ধরন এমন যে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয়, ‘এই ধরনের ইনজুরিতে নির্দিষ্ট সময় বলা যায় না। অনেকেই জানতে চান, তিনি কবে ফিরবেন—কিন্তু মেডিকেল টিমের ওপর কোনো চাপ দেওয়া ঠিক হবে না।’
কামিন্সের আগেও পিঠের ইনজুরি তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্রিকেটের বাইরে রেখেছিল। তার প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যবর্তী বিরতি ছিল পাঁচ বছর ছয় মাস। তবে এরপর থেকে তিনি বেশ ভালো ফিটনেস রেকর্ড বজায় রেখেছেন।
স্টিভেন স্মিথ এর আগে ২০২১ সাল থেকে ছয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেখানে তিনি পাঁচটি জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০২১-২২ অ্যাশেজের অ্যাডিলেড টেস্ট, যেখানে কামিন্স কোভিড নিকট-সংস্পর্শে থাকায় খেলতে পারেননি।
কামিন্সের অনুপস্থিতিতে স্কট বোল্যান্ড দলে জায়গা ধরে রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে তিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘অবশ্যই অধিনায়ককে হারানো আদর্শ নয়। তবে স্কট বোল্যান্ডের মতো বোলার যদি বিকল্প হয়, তাহলে খুব একটা খারাপ অবস্থায় আছি বলা যাবে না। স্টিভ স্মিথ নেতৃত্বে আসবেন, আর কামিন্স ফিরলে সেটি হবে দলের জন্য দারুণ এক ইনজেকশন।’
যদিও প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না, তবে দলের সঙ্গে পার্থে থাকবেন কামিন্স। ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘তাকে আপনি মাঠে কাজ করতে দেখবেন এবং অনেকের মনে হবে — ‘সে খেলছে না কেন?’ — এমন অবস্থায়ই তাকে দেখতে পাবেন আমরা। তাই আমরা আশাবাদী যে বোলিং শুরু করার পর তিনি দ্রুত ম্যাচফিট হয়ে উঠবেন।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টের স্কোয়াড আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে, শেফিল্ড শিল্ডের তৃতীয় রাউন্ডের পর। এদিকে পুরো দেশজুড়ে অস্ট্রেলীয় ভক্তরা তাকিয়ে আছেন কামিন্সের ফিরে আসার দিকে — ব্রিসবেনে যেন আবার দেখা মেলে দলের পূর্ণশক্তির অধিনায়কের।
আইএইচএস/

1 week ago
8








English (US) ·