ছবি এডিটের সেরা মোবাইল অ্যাপ

3 hours ago 5

সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়ার মতো ছবি পোস্ট করতে চাই সামান্য বাড়তি আকর্ষণ। সাধারণ একটি ছবিও রং, কনট্রাস্ট, ফ্রেম বা লাইটিং ঠিক করে অনেক বেশি সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে ছবি এডিটিং অ্যাপের জনপ্রিয়তা এখন আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। তবে প্রফেশনাল দক্ষতা বা পেইড সাবস্ক্রিপশন ছাড়াই এখন স্মার্টফোনেই দুর্দান্ত সব টিউনিং করা সম্ভব।

এক্ষেত্রে সেরা অ্যাপগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে গুগলের স্ন্যাপসিড। শক্তিশালী সব টুলস থাকা সত্ত্বেও অ্যাপটি খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। নতুন ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে দক্ষ ফটোগ্রাফার সবাই এর সুবিধা নিতে পারবেন। স্ন্যাপসিডে রয়েছে প্রায় ৩০টির মতো এডিটিং টুল ও ফিল্টার।

একটি ছবির নির্দিষ্ট অংশে আলো বা রং ঠিক করার জন্য এর সিলেক্টিভ টুলটি অসাধারণ। আবার হিলিং টুল ব্যবহার করে ছবির অপ্রয়োজনীয় বস্তু বা দাগ মুহূর্তে সরিয়ে ফেলা যায়। সবচেয়ে বড় দিক হলো এডিট করার পর ছবির কোয়ালিটি নষ্ট হয় না এবং পুরোটা সম্পূর্ণ ফ্রি।

যারা শুধুই রং টিউনিং নয়, ছবি দিয়ে ডিজাইন করতে চান তাদের জন্য রয়েছে পিকসআর্ট। এখানে কোলাজ তৈরি, ব্যাকগ্রাউন্ড বদলানো, স্টিকার বা ফন্ট যোগ করা সবই একটি অ্যাপেই পাওয়া যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যানার বা পোস্টার তৈরি করতেও এটি বেশ জনপ্রিয়।

অন্যদিকে যদি কেউ খুবই পেশাদারি লুক চান, তবে লাইটরুম বা ফটোশপ এক্সপ্রেস অনন্য। লাইটরুম মূলত রং ও আলো নিয়ন্ত্রণে বিখ্যাত, আর ফটোশপ এক্সপ্রেস দিয়ে সহজেই রিটাচ, ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার বা স্কিন স্মুথিং করা যায়। এগুলোর পেইড ভার্সন থাকলেও ফ্রি ভার্সনেই অনেক অপশন ব্যবহার করা যায়।

মোট কথা, শুধু ছবি তোলা নয় সঠিক অ্যাপ ব্যবহার করলেই স্মার্টফোনেই তৈরি করা যায় নিখুঁত এডিট। তবে সবার জন্য সবচেয়ে সহজ, শক্তিশালী এবং সম্পূর্ণ ফ্রি অপশন হলো স্ন্যাপসিড। আর তাই মোবাইল ফটোগ্রাফিতে এটি এখন অনেকের প্রথম পছন্দ।

আরও পড়ুন
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ফোন, ওজন মাত্র ১৩ গ্রাম
‘ফোকাস মোড’ আপনার মনোযোগ ধরে রাখার ডিজিটাল সহায়ক

কেএসকে/জেআইএম

Read Entire Article