বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন চার ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে জি. এম. কাদেরের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছে। এমনকি তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেনও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধরান্দী আবাসন মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জি. এম. কাদেরের নেতৃত্বে তার ৩০-৩৫টা আসন আছে। তার মাধ্যমে নাকি জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের ক্যান্ডিডেট নিয়ে এবারে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। ইতোমধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেনও নাকি হয়ে গেছে। কিন্তু তারা বাস্তবে নির্বাচনে আসতেও পারছে না, অংশগ্রহণও করতে পারছে না। তার ওপর আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য প্রেশার দিচ্ছে।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচন যতটা সহজ ভেবে নিচ্ছি, ততটা কিন্তু সহজ না। তারেক রহমান একাধিকবার বলেছেন, ‘আপনারা এই নির্বাচনকে যতটা সহজ মনে করছেন, বাস্তবে ততটা সহজ নয়।’ কারণ এর পেছনে রয়েছে বহু চাপ— পার্শ্ববর্তী দেশের চাপ, আওয়ামী লীগের চাপ, জাতীয় পার্টির চাপ এমনকি গোপন গোয়েন্দা সংস্থার চাপও।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে বিএনপির এমপি মনোনয়ন ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু দল অনেক আগেই তাদের প্রার্থীদের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমে গেছে। তারা তাবলিগের নাম ব্যবহার করে নারী সদস্যদের দিয়েও ভোট চাইছে।
নিজ দলের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এভাবে কেবল মঞ্চে বক্তৃতা দিয়ে লাভ হবে না। এখন ঘরে ঘরে যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ভোট কেমন হবে, কেন হবে, কারে ভোট দিবে- এসব জনগণকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
ভোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, যেখানে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভোট যেন ইতিহাস হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ভোট হয়েছে রাতে, দিনের ভোট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত নির্বাচন না হয়ে ‘সিলেকশন’ হয়েছে। আজেবাজে লোককে এমপি বানানো হয়েছে, পবিত্র সংসদকে অপবিত্র করা হয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ বায়জিদ পান্না। সভার সভাপতিত্ব করেন কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধা।
মাহমুদ হাসান রায়হান/কেএইচকে/জেআইএম

13 hours ago
6









English (US) ·