‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে পুরো প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে’

6 hours ago 9

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। 

জামায়াত নেতা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ অনুযায়ী আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একদিনে হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একদিনে হওয়া উচিত নয়। গণভোট নভেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আলোচিত বিষয় হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। ২৫টি রাজনৈতিক দল এসে স্বাক্ষর করেছে। 

তিনি আরও বলেন, নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একদিনে নয়। গণভোট নভেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

আব্দুল হালিম বলেন,  সংশোধিত আরপিও নিয়ে কোনো কোনো দল সংশোধনী আনতে বলেছে। আমরা বলেছি, আরপিও হুবহু বহাল রাখতে হবে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আট দলের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে স্মারকলিপি দেওয়ার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামী তিন নভেম্বর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সিইসি তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং দাবি বিবেচনার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, যারা জুলাই চেতনার পরিপন্থি কাজে থাকবে তারা ইনশাআল্লাহ জনগণের কাছে নিগৃহীত হবে। জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটেই এত আয়োজন। তাই গণভোট আগে না করলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।

এর আগে, এদিনে সকালে আগামী নভেম্বরেই গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসহ আটটি দল।

বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনের সামনে জড়ো হন দলগুলোর নেতাকর্মীরা৷

গণভোটের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করে নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে। তারা দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। না হলে বিগত ইসির পরিণতি বর্তমান নির্বাচন কমিশনকেও ভোগ করতে হবে।

এরপর দুপুর ১২টায় দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে প্রতিনিধিদল একে একে স্মারকলিপি জমা দিতে কমিশনের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। 

Read Entire Article