জানুয়ারিতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখা যেতে পারে মেসিকে!

6 hours ago 6

ইন্টার মায়ামির হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম শেষ করার পথে লিওনেল মেসি। এমএলএসে গোলের রাজা হয়েছেন, দলকেও তুলেছেন নতুন উচ্চতায়। কিন্তু ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মৌসুম, এরপর মার্চ পর্যন্ত মাঠে নামার সুযোগ নেই আর্জেন্টাইন তারকার। এই বিরতিকে কাজে লাগিয়ে এক ইউরোপিয়ান জায়ান্ট এখন ভাবছে এক অবিশ্বাস্য পদক্ষেপ—মাত্র চার মাসের জন্য মেসিকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাই।

স্প্যানিশ দৈনিক Mundo Deportivo-এর সূত্রে তুর্কি সংবাদমাধ্যম Fotomac জানিয়েছে, জানুয়ারির দলবদলের বাজারে মেসিকে স্বল্পমেয়াদি লোনে দলে টানতে চায় গালাতাসারায়। ৩৮ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি এখনো দারুণ ফর্মে আছেন—এমএলএসের নিয়মিত মৌসুমে করেছেন ২৯ গোল, যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পাঁচটি বেশি।

ইন্টার মায়ামির মৌসুম এখনো প্লে–অফ পর্যায়ে চললেও, যদি তাদের অভিযান এখানেই থেমে যায়, তাহলে মার্চ পর্যন্ত মেসির কোনো ক্লাব ম্যাচ থাকবে না। আর সেই ফাঁকেই ইউরোপের কিছু ক্লাব চাইছে তাকে অল্প সময়ের জন্য টেনে নিতে, যেন আগামী গ্রীষ্মে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ রক্ষার মিশনের আগে তিনি ফিটনেস ও ম্যাচ-রিদম ধরে রাখতে পারেন।

গালাতাসারাই নাকি ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছে। ক্লাবটির কর্তারা “ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন” মেসির পরিস্থিতি। যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে, তাহলে জানুয়ারিতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসিকে দেখা যেতে পারে তুর্কি ক্লাবটির জার্সিতে।

তাদের আকাঙ্ক্ষা যে অমূলক নয়, সেটি প্রমাণ করেছে সাম্প্রতিক ট্রান্সফার উইন্ডো। ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গালাতাসারাই দলে টেনেছে ভিক্টর ওসিমেন, লিরয় সানে ও ইলকায় গুন্দোগান–এর মতো তারকাদের। এখন মেসিকে যুক্ত করা গেলে সেটি হবে ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি।

মেসির ক্যারিয়ারে স্বল্পমেয়াদি ইউরোপ ফেরা নতুন কিছু নয়। অতীতে ডেভিড বেকহ্যাম ও ইব্রাহিমোভিচও এমএলএস মৌসুমের বিরতিতে ইউরোপে লোনে গিয়েছিলেন। তবে মেসির মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখা গেলে তা হবে সম্পূর্ণ অন্য মাত্রার এক ঘটনা।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে ২০২৬ বিশ্বকাপই সম্ভবত মেসির শেষ আন্তর্জাতিক মঞ্চ। তাই সামনে যা আসছে, তা নিয়ে তিনি যতটা সম্ভব প্রস্তুত থাকতে চান। এখন দেখার বিষয়—মায়ামি থেকে ইস্তানবুল পর্যন্ত এই শীতকালীন সফর বাস্তবে পরিণত হয় কিনা।

সূত্র: Fotomac (তুরস্ক), Mundo Deportivo (স্পেন), GIVEMESPORT

Read Entire Article