জামিনে এসে বাদীর ওপর হত্যা মামলার আসামির হামলা
                    
            
            বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বান্দরগাছিয়া এলাকায় তাজেম আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামিনে বেরিয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে হুমকি ও রাজি না হওয়ায় হামলা করেছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পৌরশহরের সদর রোডের একটি ব্যাংকের নিচে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে ভুক্তভোগী নান্টুর বাবা তাজেম আলীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে এ ঘটনায় বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা করে নিহত তাজেম আলীর স্ত্রী পিয়ারা বেগম। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে। 
অভিযোগ রয়েছে, প্রায় আট মাস হাইকোর্ট থেকে তাজেল আলী হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফোরকান জামিনে মুক্ত হয়ে নিহতের ছেলে নান্টুসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল বাড়ির সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা চালান তিনি। এরপরে স্থানীয়দের পরামর্শে ২৯ এপ্রিল থানায় জিডি করেন নান্টু।
ভুক্তভোগী নান্টু হাওলাদার কালবেলাকে বলেন, আমাদের পরিবারের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন প্রধান আসামি ফোরকান হাওলাদার (৫০) ও তার স্ত্রী তাজিনুর বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শী হাকিম হাওলাদার বলেন, আমরা খবর পাই ফোরকান ও তার স্ত্রী লোকজন নিয়ে নান্টুকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজছে। এরপর নান্টুকে পেয়ে মারধর শুরু করলে আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। তখন তারা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যায়, মামলা তুলে না নিলে নান্টুর পরিণতি ওর বাবার মতো হবে বলে জানায়। 
অটোরিকশাচালক খোকন বলেন, আমরা চায়ের দোকানে চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে গেলে হঠাৎ করে দেখি নান্টুর ওপরে হামলা চালাচ্ছে। এ সময় আমি বাধা দিলে আমার ওপরেও হামলা চালায় ফোরকান ও তার স্ত্রী। তাদের সঙ্গে আরও অনেক লোকজন ছিল। 
বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও অভিযুক্ত ফোরকানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নান্টুকে হত্যার হুমকি-ধামকি দেওয়ায় আরও একটি সাধারণ ডায়েরি করা আছে।                    
                    
        
        
 5 months ago
                        137
                        5 months ago
                        137
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·