ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই সনদ আমাদের সবারই প্রত্যাশা ছিল। অনেকগুলো মিটিংয়ের মধ্যদিয়ে এই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে। তবে এটাকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অবশ্যই গণভোট দরকার। যদিও এখানে কিছু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ আছে। কিন্তু এরপরেও যতটুকু হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য নতুন মাইলফলক।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যদিও আইনিভিত্তি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো একটি অর্ডিন্যান্স অন্য একটি দল এসে চেঞ্জ করে ফেলে। এজন্য গণভোট হলে এটা দিয়ে আইনি ভিত্তি পাবে বা সবার একটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে। সেটা অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে অতটা পাবে না। এজন্য আমরা গণভোটের পক্ষে। আর এটি অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া যুক্তিযুক্ত যা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তাই প্রত্যাশা করছে।’
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্র অঙ্গনে কাজ করি। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে এবং হিস্টোরিক্যালি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যতগুলো বড় হিস্টোরিক্যাল ঘটনা ঘটেছে সবগুলোতে আপনি দেখবেন যে ক্যাম্পাস এবং ছাত্রদের একটা ভূমিকা ছিল। সে জায়গা থেকে আমাদের কাছে একটা চিত্র স্পষ্ট, তা হলো মানুষের চিন্তার একটা পরিবর্তন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন মানুষ গঠনমূলক কাজ চায়। আগের মতো কাঁদা ছোড়াছুড়ি, নোংরামি অথবা রাজনৈতিক কালচারের মধ্যে যে নেগেটিভিটি রয়েছে, এগুলো শিক্ষার্থীরা এখন আর দেখতে চায় না। তো আমি মনে করি ঠিক একই বিষয়টি জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও ঘটছে। সাধারণ মানুষ আর আগের কালচারের রাজনীতিকে পছন্দ করছে না। যারা রাজনীতির নয়া স্বরূপ অথবা সত্যিকারের অর্থে মানুষের কল্যাণের জন্য গঠনমূলক অ্যাজেন্ডা নিয়ে হাজির হবে, তারাই জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব পাবে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ বর্ষের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির। এসময় নবীনদের ফুল, আল-কুরআন এবং ছেলেদের টি-শার্ট ও মেয়েদের হিজাবসহ উপহারসামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেয় সংগঠনটি।
ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আইআইইআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান, দা‘ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অ্যধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক সম্পাদক এইচ এম আবু মুসা, ব্যবসায়িক শিক্ষা সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইরফান উল্লাহ/আরএইচ/এএসএম

4 hours ago
5









English (US) ·