গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুগপৎ আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের জন্য বিএনপি তাদের পলিসি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন আসনে বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থী দেয়নি। ঝিনাইদহ-২ আসন তারই একটি। তবে বিএনপি এই আসনে আমাকে এখনো চূড়ান্ত সমর্থন দেয়নি। এ বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ড আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারে নির্বাচনি গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে বিএনপি, জামায়াত, গণধিকার পরিষদসহ যে সব দল অংশ নিয়েছিল, তাদের ঐক্যের বিকল্প নেই। আমরা যারা বিগত ষোলো বছর ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুগপৎ আন্দোলন করেছি, আমাদের সেই কঠিন দিনগুলো ভুলে গেলে চলবে না। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য বিনষ্ট হলে আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ ফেরার শঙ্কা তৈরি হবে।
জাতীয় সরকারের ইঙ্গিত দিয়ে রাশেদ খান বলেন, দেশ এখন নির্বাচনি ট্রেনে চলতে শুরু করেছে। বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলনসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা দীর্ঘদিন জেল জুলুম সহ্য করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন করে গেছে। আগামী নির্বাচনে যে দলই বিজয়ী হোক, আমরা জাতীয় সরকার গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে তারেক রহমান আমাদের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ-২ আসনে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আসনে যিনিই নির্বাচন করুক না কেন, তার জন্য আমার শুভ কামনা। প্রত্যেকটি দল তাদের রাজনীতি করুক। কেউ যেন অন্য দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি না করে। এতে সংঘাত তৈরির শঙ্কা দেখা দেবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিগুলোর পারস্পরিক সংঘাত আওয়ামী লীগের ফেরার পথ সহজ করবে।
এর আগে বিকাল ৪টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারে গণসংযোগ করেন রাশেদ খান। গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে অংশ নেন।
এম শাহজাহান/কেএইচকে/এএসএম

1 hour ago
4









English (US) ·