রাজধানীর গাবতলী-আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডামি পিস্তলসহ ডাকাতদলের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- মো.মাকছুদুর রহমান দীপু (২৬), মো. হৃদয় (২২), মো. জাকির হোসেন (৩৬), মো.সবুজ ডাক্তার (৫৫), মো. শামছুজ্জামান ওরফে সবুজ (৩৫), সৈয়দ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ওরফে আলম (৫৮), মো.রিপন (৩৬), মো. মামুনুর রশিদ ওরফে শিশির (৩৪) ও মো. ইলিয়াছ রহমান (৩৩)।
ডিবি ওয়ারী বিভগের বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপনগর থানাধীন গাবতলী-আব্দুল্লাহপুর বেরীবাঁধস্থ বিরুলিয়া ব্রিজের বিপরীত পাশে প্রিয়াঙ্কা শুটিং স্পটের উত্তর পাশের বাউন্ডারি সংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত আনুমানিক ১১টা ৫ মিনিটের দিকে মাকছুদুর রহমান দীপু, হৃদয় ও জাকির হোসেনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি চৌকস টিম। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুটি খেলনা পিস্তল, একটি স্টিলের ছুরি ও তিনটি বাটন মোবাইল ফোন।

গ্রেফতারকালে দুটি গাড়ি এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে ১৪-১৫ জন ডাকাত সদস্য দ্রুত বিরুলিয়া ব্রিজ পার হয়ে সাভার এলাকায় পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ, মোবাইল ফোনে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার দিনগত রাত আনুমানিক ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে আশুলিয়া থানাধীন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল মোড় থেকে অ্যাভেঞ্জা কারসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করেছে ডিবি ওয়ারী বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ইলেকট্রিক শক লাইটার, চারটি মোবাইল ফোন এবং ওই কার থেকে তিনটি পুলিশ লেখা রিফ্লেকটিং জ্যাকেট (বাংলাদেশ পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত) ও একটি কালো রংয়ের পকেট মোবাইল রাউটার উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা পেশাদার সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করার উদ্দেশে খেলনা পিস্তলসহ উল্লিখিত স্থানে একত্রিত হয়েছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। গ্রেফতার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ওরফে আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলাসহ মোট আটটি মামমলা রয়েছে, শামছুজ্জামান ওরফে সবুজের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা রয়েছে, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা, মাকছুদুর রহমান দীপুর বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাসহ চারটি মামলা, ইলিয়াছ রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা, হৃদয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১২টি মামলা, মামুনুর রশিদ ওরফে শিশিরের দুটি মামলা, সবুজের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা ও রিপনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। পলাতক অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কেআর/এমকেআর/এমএস

4 days ago
9









English (US) ·