কুইন্টন ডি কক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম শতরান এবং ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ এক জয়ে নেতৃত্ব দিলেন।
ফয়সালাবাদে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের দেওয়া ২৭০ রানের লক্ষ্য সহজেই ছুঁয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা, ৫৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় তারা। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইনিংসের শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। ওপেনিং জুটিতে ডি কক ও লুয়ান-দ্রে প্রিটোরিয়াস যোগ করেন ৮১ রান। এরপর টনি ডি জর্জির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে আসে ১৫৩ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ, যা মূলত জয় নিশ্চিত করে ফেলে। ডি জর্জি ৬৩ বলে করেন ৭৬ রান।
শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য স্পর্শ করে। ম্যাচ জয়ের সময় ডি ককের সঙ্গী ছিলেন ম্যাথিউ ব্রিটজকে। তিনি ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ডি কক ১১৯ বলে ৮ চার আর ৭ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ১২৩ রানের ইনিংস।
এর আগে ফয়সালাবাদে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরুতেই ফাখর জামানের (০) উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। বিপর্যয় কাটাতে নেমে ১১ রান করে বিদায় নেন বাবর আজম এবং ৪ রান করে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ানও।
২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন সাইম আইয়ুব ও সালমান আলি আগা। দু’জন মিলে গড়ে তোলেন ৯২ রানের অনবদ্য এক জুটি। ৬৬ বলে ৫৩ রান করেন সাইম আইয়ুব।
সালমান আলি আগা ১০৬ বল খেলে ধীর গতির ব্যাটিং করলেও সর্বোচ্চ ৬৯ রান সংগ্রহ করেন তিনি। হুসাইন তালাত ১০ রান করে আউট হন। তবে মোহাম্মদ নওয়াজ বলে বলে রান তুলে পাকিস্তানের স্কোরকে চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে নিয়ে যান। ৫৯ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। ১৮ বলে ২৮ রান করেন ফাহিম আশরাফ। ৯ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ২৬৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার নান্দ্রে বারগার ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। এনকাবায়োমজি পিটার নেন ৫৫ রানে ৩ উইকেট এবং ২টি নেন করবিন বোস।
এমএমআর/জিকেএস

18 hours ago
9









English (US) ·