ডিসি অফিসের সাবেক কর্মীর নামে ২৪৫ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা

15 hours ago 7

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সাবেক কর্মচারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সংস্থার ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট বাদী হয়ে বুধবার (৫ নভেম্বর) বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করে।

মামলার আসামিরা হলেন ডিসি কার্যালয়ের সাবেক এমএলএসএস আব্দুল মান্নান তালুকদার, তার স্ত্রী জেসমিন নাহার, মো. আনিসুর রহমান ও সালেহা বেগম।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম জানান, সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে আসামিরা ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আমানত হিসেবে সংগ্রহ করেন। প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ হাজার টাকা থেকে যেকোনো পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগে চার-পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা আবাসন ব্যবসায় না লাগিয়ে মান্নান তার নিজের মালিকানাধীন ‘সাবিল গ্রুপ’-এর ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেন।

এ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এ্যাজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (বাগেরহাট), সাবিল এল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প (বাগেরহাট)।

মান্নান ১৯৮৪ থেকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরি করেন এবং ২০১০ সালে অবসরে যান। চাকরি জীবনেই জমি কেনাবেচার ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পরে অবসর নিয়ে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট’ নামের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগান ব্যবহার করে আমানত গ্রহণ কার্যক্রম চালান।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে। মামলার তদন্ত এখন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অধীনে চলছে। অভিযুক্তদের অর্থ লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য, সহযোগীদের নাম এবং অর্থের গন্তব্য শনাক্তে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কেআর/একিউএফ/জেআইএম

Read Entire Article