বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কোনো ঠাঁই হবে না। দুঃশাসন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা কোনো বাধাই মানবো না।
তিনি বলেন, আমাদের অমূল্য সম্পদ যুব সমাজ জেগেছে। তারাই চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে। অদম্য দুঃসাহসী এই যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। তাদের মাধ্যমেই তারুণ্য নির্ভর ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কোনো ঠাঁই হবে না। দুঃশাসন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা কোনো বাধাই মানবো না। দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধায় ৭টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগামী নির্বাচনে সিলেট ২ ও ৩ আসনের জামায়াত দায়িত্বশীলদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ভোট কেন্দ্র প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষায় কারো কাছে মাথা নত করবো না। মানুষের প্রকৃত মুক্তির জন্য প্রয়োজনে আবার রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে তার ভোট প্রদানের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী নির্বাচনকে জিহাদের ময়দান মনে করে কাজ করতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে ভোট কেন্দ্রে পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এজন্য আমরা নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেইং ফিল্ডের দাবি জানাচ্ছি। আগামী নির্বাচন দেশ, জাতি ও ইসলামী আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটি ইসলামী আন্দোলনের জনশক্তির মাথায় রেখে জনমত আদায়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে কারো হাতে ইজারা দেয়া হয় নাই। দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে এতো মানুষ শহীদ হলো। দেশ মাতৃকার গর্বিত সন্তান আমাদের শহীদদের রক্তের মূল্য দিতে হবে। তাদের যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করতে হবে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদের কোনো মূল্য নেই। এজন্যই দেশের অধিকাংশ দল একসাথে গণভোটের দাবি জানাচ্ছে। এ বিষয়টিকে অন্তর্বর্তী সরকারের অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পথ সব সময়ই কঠিন। তবুও যথাসময়ে আল্লাহর সাহায্য আসায় কঠিন পরিস্থিতি সহজ হয়ে যায়। নবী ও রাসুল (সা.) এর জীবনাদর্শে আমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা। আল্লাহ পাক দ্বীনের ময়দানে কাউকে একা ছেড়ে দেন না। মুসা (আ.) কে সঙ্গ দিতে তার ভাই হারুন (আ.) কেও আল্লাহ পাক নবী বানিয়েছিলেন। মুসা (আ.) ফেরাউনের সাম্রাজ্যে কঠিন আঘাত করেছিলেন। আল্লাহ পাক তাকে বিজয় দান করেছিলেন। মুসা (আ.) ফেরাউনের কবল থেকে তার জাতিকে মুক্ত করেছিলেন। সেভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনও আমাদের দেশকে মুক্ত করবেন। আমাদেরকে শুধু নৈতিকতার আলোকে দ্বীনের দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জামাতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও এবং জেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল-হোসাইনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা নায়েবে আমির ও সিলেট-২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, সিলেট অঞ্চল টিম সদস্য ও সিলেট-১ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, সিলেট জেলা সেক্রেটারি ও সিলেট-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন, সিলেট মহানগর নায়েবে আমির ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, সিলেট-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা লোকমান আহমদ ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মাশুক আহমদ।

1 hour ago
7









English (US) ·