দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নবীন রাষ্ট্র তিমুর-লেস্তে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আসিয়ানের ১১তম সদস্য দেশ। আজ কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম এ ঘোষণা দেন—যা আসিয়ানের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হলো।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, তিমুর-লেস্তের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আসিয়ান পরিবার এখন পূর্ণতা পেলো। এটি আমাদের অভিন্ন ভবিষ্যৎ ও আঞ্চলিক ভ্রাতৃত্ববোধের এক দৃঢ় প্রতীক। এই সম্প্রদায়ে তিমুর-লেস্তের উন্নয়ন ও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন এখন থেকে আরও শক্ত ভিত্তি পাবে।

এই অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব স্বাধীন রাষ্ট্র এখন আসিয়ান ছাতার নিচে একত্র হলো। তিমুর-লেস্তে ২০০২ সালের ২০ মে স্বাধীনতা অর্জন করে এবং ২০১১ সালে আসিয়ানে যোগদানের আবেদন জানায়। দীর্ঘ এক দশকের প্রস্তুতি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নীতিগত আলোচনার পর অবশেষে দেশটি আজ পূর্ণ সদস্যপদ পেলো।
এর আগে ২০২২ সালে ফনমপেন সম্মেলনে নীতিগতভাবে তিমুর-লেস্তের সদস্যপদ অনুমোদন করা হয় এবং ২০২৩ সালের ইন্দোনেশিয়া সম্মেলনে গৃহীত হয় ‘পূর্ণ সদস্যপদ রোডম্যাপ’—যেখানে মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।

বারনামার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৪ লাখ জনসংখ্যার দেশ তিমুর-লেস্তে তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হলেও কৃষি ও সেবা খাতের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে।
২০২৪ সালে দেশের জিডিপি ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালে তা ৩.৯ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে আসিয়ান সংশ্লিষ্টরা।
এমআরএম/এমএস

2 weeks ago
17









English (US) ·