ব্যাটারিচালিত রিকশাশ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে সিলেট মেট্রোলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেছেন, নেতৃত্বে থাকা বেশিরভাগ ব্যক্তি সিলেটের বাসিন্দা না। এমনকী রিকশা চালকও নন। তৃতীয় কোনো শক্তি আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসএমপি কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, রিকশাশ্রমিকদের আন্দোলনে বাইরে থেকে ভাড়া করে লোক আনা হয়েছে। তারা প্রকৃত রিকশাশ্রমিক নন। কিছু হকারকেও সেখানে জড়ো করা হয়েছে। আমাদের হাতে থাকা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, চিহ্নিত কিছু ছিনতাইকারী ও মাদকসেবীর উপস্থিতিও ছিল। এতে আমাদের সন্দেহ হয়, এ আন্দোলনের আড়ালে অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে।’
নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শক্তির ওপর ভর করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চলছে। আমরা তা ব্যর্থ করার চেষ্টা করবো। এজন্য নগরবাসী পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, নগরীতে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত নয়। বরং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্যাটারিচালিত রিকশাশ্রমিকদের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নগরীর চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট জেলার আহ্বানে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
ছয় ঘণ্টা অবরোধের পর রোববার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন শ্রমিকরা। নির্ধারিত সময়ে দাবি মানা না হলে সোমবার (৩ নভেম্বর) থেকে স্ত্রী-সন্তানসহ আমরণ অনশনে যাওয়ার হুমকি দেন তারা।
আহমেদ জামিল/এসআর

11 hours ago
10









English (US) ·