দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। এরই মধ্যে অঞ্চলটিতে দুই শতাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে, আটক করা হয়েছে কয়েকশ সন্দেহভাজনকে।
কাশ্মীরে কথিত ‘সশস্ত্র সমর্থন নেটওয়ার্ক’ ভাঙার অভিযানে গত এক সপ্তাহ ধরে অভিযান চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ।
বুধবার এক বিবৃতিতে স্থানীয় পুলিশ বলেছে, জামাত-ই-ইসলামী (জেইআই)-র সদস্যদের লক্ষ্য করে দুই শতাধিক স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। সংগঠনটি ২০১৯ সাল থেকে ভারতে নিষিদ্ধ।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বুধবার কুলগাম জেলায় একদিনেই দুই শতাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়। গত চারদিনে দক্ষিণ কাশ্মীর জুড়ে ৪০০ বার কর্ডন ও সার্চ অপারেশন পরিচালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
বিস্ফোরণে রক্তাক্ত দিল্লি/ সাবেক রাজার জন্মদিন উদযাপনে ভুটান গেলেন মোদী
দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে যেসব প্রশ্নের জবাব নেই
ভারত-পাকিস্তানের রাজধানীতে ২ দিনে ২ বিস্ফোরণ: দক্ষিণ এশিয়ায় ফের অস্থিরতা
এই অভিযান এমন সময়ে চালানো হচ্ছে, যখন ফারিদাবাদ ও সাহারানপুর থেকে কাশ্মীরি সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগে একটি সন্ত্রাসী চক্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলওয়ামার বাসিন্দা ডা. উমর নাবিকে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান অভিযানের সঙ্গে ওই ঘটনার সরাসরি যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ও এর তৃণমূল কাঠামো ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জেইআই সদস্য ও তাদের সহযোগীদের বাড়ি ও কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে।’
কুলগাম জেলায় অভিযানের পর নিষিদ্ধ সংগঠন জেইআই ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৫০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বহুজনকে প্রতিরোধমূলক আইনে অনন্তনাগ জেলার মাট্টান কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একই দিনে উত্তর কাশ্মীরের সোপোর জেলাজুড়ে ৩০টির বেশি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী নেটওয়ার্কের উপস্থিতি’র কারণে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে এবং কয়েকজনকে অবৈধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা যাচাইয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গান্দারবাল ও আওয়ান্তিপোরায়ও জামাত-ই-ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, এসব স্থানে বিপুল পরিমাণ ‘অপরাধমূলক দলিল, ডিজিটাল ডিভাইস ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছাপানো উপকরণ’ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান ‘সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কাঠামো ভাঙতে এবং তাদের আর্থিক, আদর্শিক ও লজিস্টিক যোগসূত্র কেটে দিতে’ গৃহীত দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
গত এক সপ্তাহে উপত্যকাজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
কেএএ/

3 hours ago
4








English (US) ·