দুর্নীতির মামলায় শিবলী রুবাইয়াতের জামিন না মঞ্জুর

7 hours ago 6

ভুয়া বাড়িভাড়ার চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেননি আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। জামিন না মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শিবলী রুবাইয়াতকে ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে এজলাসে তোলা হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আসিফুর রহমান জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানিতে ব্যারিস্টার আসিফুর রহমান বলেন, শিবলী রুবাইয়াতের গাজীপুরে পৈত্রিক জায়গা রয়েছে। ২০২১ সালে বাবার জায়গায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও ভাড়া নেওয়ার জন্য চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী টাকাও আসে। পরবর্তীতে একজন আপত্তি জানিয়ে ওই টাকার দাবি করেন, যা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।

ব্যারিস্টার আসিফুর আরও বলেন, ২০২১ সালের ব্যক্তিগত এগ্রিমেন্টের (চুক্তি) বিষয়টি নিয়েই দুদক মামলা করেছে। এটি কোনো সরকারি বা অফিসিয়াল চুক্তি নয়। সিকিউরিটিজ ব্রোকারেজ হাউজে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন। সব আবেদন নিয়ম অনুযায়ী করা হয়।

পরে শিবলী রুবাইয়াত নিজে কথা বলার অনুমতি চান, তবে আদালত আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, আপনি ওনার (শিবলী রুবাইয়াত) পক্ষে যথেষ্ট বলেছেন।

দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমি জামিনের বিরোধিতা করেন। এরপর আদালত তার জামিন না মঞ্জুরের আদেশ দেন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে শিবলী রুবাইয়াতকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন দুদকের উপ-পরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে শিবলী রুবাইয়াতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মোনার্ক হোল্ডিং ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের প্রোপাইটর আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির দিলকুশা শাখার সাবেক কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, ইকবাল হোসেন ও সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।

এজাহারে বলা হয়েছে, ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তিনামা ও বিক্রয়চুক্তি দেখিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে শিবলী রুবাইয়াত এক কোটি ৯২ লাখ টাকা (প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ মার্কিন ডলার) ঘুষ গ্রহণ করেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা যথাযথ যাচাই না করে তিন লাখ ৬১ হাজার ডলার বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। যার মধ্যে শিবলী রুবাইয়াত এক কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন।

এমডিএএ/এমএমকে/জিকেএস

Read Entire Article