নতুন নেতৃত্ব, নতুন বাংলাদেশ, এই স্লোগানে নিজেদের প্রস্তুত করতে হব

6 hours ago 6

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোর নতুন নেতৃত্ব এমন ভাবে গড়ে উঠবে, পরচালিত হবে যাতে সমাজের স্লোগান, নতুন নেতৃত্ব, নতুন বাংলাদেশ, সেটা আপনাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে পাওয়া যাবে নতুন মানচিত্র।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সন্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধি সংবর্ধনা-২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতীতের কুলষিত ছাত্ররাজনীতিতে আমরা শুনতাম, দেখতাম, ছাত্রসংসদে যারা নির্বাচিত হতো, তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে জড়াতো, অসৎ উপায়ে রুজি করতো। তাই বর্তমান ছাত্রসংসদগুলোতে সততার পরীক্ষায় শতভাগ উন্নীত দেখতে চাই। এখানে এক ভাগ ফেইলও এই জাতি দেখতে চায় না।

আরও পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্চার সেল বন্ধ হয়েছে, ডালের ঘনত্ব বেড়েছে: তাহের 

জামায়াত আমির বলেন, ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সব দলের যারা অংশগ্রহণ করেছেন প্রত্যেককে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। আপনাদের দায়িত্ব শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জাতির স্বপ্ন সারথী হিসেবে এই স্বপ্নকে ধারণ করতে হবে, বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রতি জাতির পাওনা আছে। আশা করি আপনারা সেই প্রতিদান দেবেন।

জামায়াত আমির প্রত্যাশা রেখে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই ভারী, পর্বত সমান দায়িত্ব আপনারা অতিক্রম করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, তরুণরা আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে গড়বে, তার রিহার্সেল হচ্ছে ছাত্রসংসদের মাধ্যমে। সেই তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই।

জামায়াত আমির ছাত্র সংসদ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, প্র‍্যত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অফ একাডেমিক এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে প্রথম প্রায়োরিটি হবে ছাত্রসংসদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা নাই হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রসংসদকে এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। যুবকদের নিয়ে জাতির যে আশা তৈরি হয়েছে, কারও কারও ভুলের মাধ্যমে সেখানে কিছু ভাটা পড়েছে। আমি চাই, এই ছাত্রসংসদ যেন সেটা পূরণ করেন।

ছাত্রসংসদ নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। তোমাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চাই। দেশের ককপিটে তোমাদেরকে বসাতে চাই। তোমরা ককপিটে বসে দেশ পরিচালনা করবা। পেছন থেকে আমরা তোমাদের জন্য দোয়া করবো, শক্তি যোগাবো। ভুল করলে কানে কানে তোমাদেরকে বলে সংশোধন করবো। কথা না শুনলে হাতে ধরে বকা দেবো। যদি তাও না শুনো তাহলে সম্মানের সঙ্গে আসন থেকে জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তোমাদেরকে সরিয়ে দেবো। রাগ করো না। তোমাদেরকে সেইভাবেই প্রস্তুত হতে হবে।

আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, তোমরা পারবা, পেরেছো। একটা হস্তিকে তোমরা এই সমাজ থেকে তাড়াতে পেরেছো। তোমাদের নেতৃত্বে সেটা সফল হয়েছে। তোমাদের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, যোগ করেন জামায়াত আমির।

আরএএস/এসএনআর/জিকেএস

Read Entire Article