নারায়ণগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

3 hours ago 5

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিসহ তিন সাংবাদিক।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় হামলাকারীরা ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তিন সাংবাদিককে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহতরা হলেন জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আকাশ, স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ নারায়ণগঞ্জ’র ক্যামেরা পারসন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজ রেজা আরজু।

এ ঘটনায় হামলাকারী কথিত বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেনকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। তিনি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা।

নারায়ণগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

আহত জাগো নিউজের সাংবাদিক মো. আকাশ বলেন, গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এক নারীর অভিযোগ ছিল, তাদের কারখানা দখল করে রেখেছেন বিএনপির নামধারী নেতা শাহাদাত চৌধুরী ওরফে পুলিশ শাহাদাত ও তার ছেলে রাব্বি। তার বাসার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তিনদিন ধরে কারখানায় আটকে রাখা হয়েছে। তার মেয়ের শ্লীলতাহানি ও মারধর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে সুরাহা পাচ্ছিলেন না অভিযোগ।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানতে আমরা বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় শাহাদাত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা করেন। আমার সঙ্গে থাকা ক্যামেরা পারসন আবদুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। একপর্যায়ে টেনেহেঁচড়ে একটি রুমে আটকে লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এসময় সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলেন তারা।

খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে। তাদের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/এএসএম

Read Entire Article