নাশকতা রোধে বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার

2 hours ago 4

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে দেশের বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। প্রবেশদ্বারে বন্দর ব্যবহারকারীদের পরিচয়পত্র ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশির পর অনুমতি মিলছে প্রবেশের।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে এসব তথ্য জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

দেশের সর্ববৃহৎ এ বন্দরটিতে সবসময় কয়েক হাজার কোটি টাকার আমদানি পণ্য সংরক্ষণ থাকে।

বন্দরের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে আবারও দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্তিরতা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীতে ১০টি বাস ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে আগুন ও ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। একজন বাসচালক নাশকতায় প্রাণ হারিয়েছে। এতে নাশকতামূলক ঘটনা এড়াতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়ে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) থেকে চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন এলাকায় যেকোনো মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও পথসভা আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আশঙ্কা থেকে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নাশকতা রোধে বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার

বেনাপোল বন্দরের ৩৪টি পণ্যাগার ও কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে সব সময় প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন পণ্য সংরক্ষিত থাকে। যার বাজার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। এসব পণ্যের নিরাপত্তায় নিরাপত্তাকর্মী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্থাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে আবারও দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতায় নাশকতা ঘটছে। এতে আমরা অনেকটা আতঙ্কিত। বন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার। যাতে দুর্বৃত্তায়ন ও নাশকতা ঘটাতে না পারে।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন বলেন, এখনও পর্যন্ত নাশকতার কোনো তথ্য তাদের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নেই। তবে বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক সময়ের চাইতে জোরদার রাখা হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের নাশকতা না ঘটে। বন্দরে ১৬৩ জন আনসার, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা আল আরাফা কোম্পানির ১২৯ জন ও আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ৪০ জন সদস্যদের নিয়মিত নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। এছাড়া বন্দরে ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরাই সার্বক্ষণিক চলছে বাণিজ্য পর্যবেক্ষণ।

বন্দর ফায়ার সার্ভিস টিমকে নাশকতামূলক ঘটনা রোধে সব সময় সজাগ রাখা হয়েছে।

মো. জামাল হোসেন/এমএন/এএসএম

Read Entire Article