আন্দামান সাগরের উপকূলীয় এলাকায় নিখোঁজ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খোঁজে অভিযান জোরদার করেছে মালয়েশিয়ার ম্যারিটাইম পেট্রল। দেশটির পুলিশের ধারণা, মিয়ানমারের নিপীড়িত এই সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের বহনকারী একটি নৌকা উল্টে ডুবে যায়, যাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জন মারা গেছেন।
মালয়েশিয়ার লাংকাবি দ্বীপের পুলিশপ্রধান খাইরুল আজহার নুরুদ্দিন জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ আগে শতাধিক রোহিঙ্গা মালয়েশিয়াগামী একটি বড় নৌকায় উঠেছিলেন। পরে গত বৃহস্পতিবার তাদের দুইটি ছোট নৌকায় ভাগ করে দেওয়া হয়। এর একটি নৌকা লাংকাবির কাছে ডুবে যায়। নিখোঁজদের সন্ধানে বর্তমানে প্রায় ৮৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান অভিযান চলছে।
মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা এখন সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির নতুন ঢেউয়ের মুখে। প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে অমানবিক পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে।
মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, আরেকটি নৌকায় থাকা ২৩০ জনের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে উদ্ধার করা হয়েছে আরও চারটি মরদেহ, যার মধ্যে দুজন রোহিঙ্গা কিশোরীও রয়েছে বলে দেশটির এক সামুদ্রিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতুন প্রদেশের গভর্নর সাকরা কাপিলাকার্ন বলেন, থাই নৌবাহিনী ও মেরিন পুলিশ অতিরিক্ত তল্লাশি চালিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ১০০-এরও বেশি রোহিঙ্গা নৌকাযোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় প্রায় ৬০০ জন নিখোঁজ বা মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম

3 hours ago
4









English (US) ·