সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মাথার খুলিসহ হাড় উদ্ধার হওয়া অটোচালক আমিরুল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালমাল উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সলঙ্গা থানা আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের কাছে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আসামিরা হলেন, সলঙ্গা থানার চকনিহাল গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে মো. সাহেব আলী প্রামানিক (২৫), তাড়াশ উপজেলার ওয়াসিন গ্রামের মৃত আব্দুল বাহেরের ছেলে মো. আব্দুল আজিম প্রাং (৩১) ও সলঙ্গা থানার চক নিহাল গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে মো. মনিরুজ্জামান সরকার (৪৪)।
নিহত আমিরুল ইসলাম সলঙ্গা থানার অলিদহ গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক রতন জানান, অটোকচালক আমিরুল গত ৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেন না। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে সলঙ্গা থানায় জিডি করেন। এর প্রায় আড়াই মাস পর ১৮ অক্টোবর বিকেলে সলঙ্গার থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চক নিহাল গ্রামে ডোবায় কচুরিপানার নিচে থেকে তার মাথার খুলিসহ কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে থাকা পরনের কাপড় দেখে কঙ্কালটি আমিরুলের বলে শনাক্ত করে পরিবার।
এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়। তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিম আমিরুলের লুট হওয়া অটোভ্যানের মালামাল উদ্ধার করা হয়।

3 hours ago
7









English (US) ·