নিরপেক্ষ প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা দিতে একমত হামাস-ফাতাহ

2 weeks ago 16

যুদ্ধবিরতির পর গাজার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। নিরপেক্ষ এ প্রশাসনের হাতে গাজা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে হামাস,ফাতাহসহ অন্যান্য মুক্তিকামী সংগঠন।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে হামাসের ওয়েবসাইটে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা পরিচালনার দায়িত্ব একটি অস্থায়ী নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ প্রশাসনিক কমিটি আরব দেশসমূহ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় গাজায় মৌলিক সেবা পরিচালনা করবে।

এছাড়াও যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে সকল দলের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। দলগুলো ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে তার ভূমিকা শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে পিএলও- ফাতাহ। এ সংগঠনের সঙ্গে আদর্শ ছাড়াও রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে হামাসের। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহ প্রতিনিধিদলের মধ্যে মার্কিন সমর্থিত গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ ভবিষ্যতেও বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার এবং ইসরায়েলি সরকারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফিলিস্তিনি অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছে।

এই বিষয়ে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদসহ পিএলও-ভুক্ত গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব ফিলিস্তিনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মিশরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশাদ।

২০০৬ সালের নির্বাচনের পর হামাস ও ফাতাহর রাজনৈতিক বিরোধ একসময় সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সংঘর্ষ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি ঐক্যের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে উভয় দল যুদ্ধ পরবর্তী গাজা প্রশাসনের জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছে।

২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হামাস আগেই জানিয়েছে যে, তারা যুদ্ধোত্তর গাজার প্রশাসন চালাতে আগ্রহী নয়। তবে সংগঠনের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার বিরোধিতা করছে হামাস।

কেএম

Read Entire Article