নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা

5 months ago 84

দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

তিনি আরও বলেন, জনগণের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে।

সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদের নবম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য খাদ্য শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। অর্থাৎ খাদ্য শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ যে কোনো সময়েই খাদ্যকে অনিরাপদ করতে পারেন। অনিরাপদ খাদ্য সবসময়ই শরীরের সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

নিরাপদ খাবারের ব্যাপারে সচেতনতার বিকল্প নেই। আর এই সচেতনতা শুরু করতে হবে নিজ নিজ ঘর থেকে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাত্রই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।

এদিকে সভায় উপদেষ্টা জানান, জাপান সরকারের অর্থায়নে দশ বছর মেয়াদী ২ হাজার ৪০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় ঢাকায় একটি ফুড সেফটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুটি খাদ্য পরীক্ষাগার, প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়বে। দেশের অন্য বিভাগেরও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

সভায় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধিবিধান ও জাতীয় নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো দ্রুত অংশীজনের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকের জনবল বাড়ানোসহ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এবং গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ জনগণের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, জনগণের নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করতে হবে এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনএইচ/এএমএ/এএসএম

Read Entire Article