নিষেধাজ্ঞার পর মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা নদীতে নামলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। তবে কোরাল, পাঙাশ, পোয়াসহ বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ছে।
রোববার দুপুর ভোলার সদর উপজেলার তুলাতুলি মৎস্য ঘাটে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
ওই এলাকার জেলে মো. শাকিল মাঝি জানান, নিষেধাজ্ঞার শেষে রাত ১টার পর বুকভরা আশা নিয়ে দল বেঁধে নদীতে গেছেন। ভোর পর্যন্ত মেঘনা নদীতে জাল ফেলেছেন। ইলিশের পরিমাণ কম পেলেও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পেয়েছেন।
মো. ইউনুছ মাঝি জানান, দুই জেলেকে নিয়ে ভোর ৫টার দিকে নদীতে জাল ফেলেছেন। প্রায় ২ ঘণ্টা জাল ফেলে তিন হাজার টাকার বিভিন্ন মাছ পেয়েছি।

একই ঘাটের জেলে মো. সফিক মাঝি জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের আয় রোজগার বন্ধ ছিল। সরকারি চাল ছাড়াও কিছুই পায়নি। ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার শেষে ভেবেছিলাম নদীতে গিয়ে ৩০-৪০ হাজার টাকার মাছ পাবো প্রতিদিন কিন্তু সেটা পাচ্ছি না।
মো. হেলাল মাঝি জানান, নদীতে গিয়ে বর্তমানে যে মাছ পাচ্ছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এ পরিমাণ মাছ যদি আমরা আরও ৭-৮ দিন নদী থেকে ধরতে পারি তাহলে আমরা বিগত দিনের ধারদেনা পরিশোধ করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে নেমেছে। তারা নদীতে গিয়ে আশানুরূপ ইলিশসহ অন্যান্য মাছ পাচ্ছেন। আমরা আশা করছি এ বছর জেলেরা বিগত দিনের ধারদেনা পরিশোধ করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২ টা পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরণের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। আর নিষেধাজ্ঞার সময় ভোলার সাত উপজেলায় নিবন্ধিত ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৫ জন জেলের মধ্যে সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৮ জন জেলেকে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/আরএইচ/জেআইএম

2 weeks ago
16









English (US) ·