নিয়োগ পরীক্ষায় ডেকে অনুপস্থিত কর্তৃপক্ষ

15 hours ago 8

কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাদরাসায় নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে দিনভর অপেক্ষা করে পরীক্ষার্থীদের ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকলেও নিয়োগ বোর্ডের কর্তাদের অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) উপজেলার তবকপুর আবু বকর ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘ‌টে। এতে এলাকাবাসী ও পরীক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই মাদরাসার শূন্য পদে ইবতেদায়ী প্রধান, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটর অপারেটর, গবেষণাগার-ল্যাব সহকারী ও আয়া পদে একজন নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চার পদের বিপরীতে ৫৮ জন আবেদন করেন। সে মোতাবেক আবেদনকারীদের মাদারাসা কর্তৃপক্ষ শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ওই মাদরাসায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে মর্মে অ্যাডমিট কার্ড দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার অধ্যক্ষ ফকরুল ইসলাম চারটি পদে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে প্রায় কো‌টি টাকা হাতিয়ে নেন। লেনদেনের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় পরীক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানের সব কক্ষ তালাবদ্ধ রয়েছে। আশপাশে কিছু লোক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এসময় কথা হয় আয়া পদে পরীক্ষা দিতে আসা ছকিনা নামের এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে অফিসের পিয়ন আমার বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দেন। আজ (১ নভেম্বর) পরীক্ষার জন্য মাদরাসায় ডাকা হয়েছিল। এসে দেখি প্রতিষ্ঠানের দরজা তালাবদ্ধ, সংশ্লিষ্ট কেউ নেই। অনেক পরীক্ষার্থী আবার কাউকে না পেয়ে অপেক্ষা করে চলে যান।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা যদি না নেবে তাহলে ডাকার কি দরকার ছিল।

একই অভিযোগ করেন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে পরীক্ষা দিতে আসা রমজানুল ইসলাম ও শামিম মিয়া। এদিকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওই মাদরাসা চত্বরে অবস্থান করেও কর্তৃপক্ষ না আসায় হতাশ হয়ে ফিরে যান পরীক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও মাদরাসার অধ্যক্ষ ফকরুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে মূলত নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কিন্তু মাদরাসার নোটিশ বোর্ডে পরীক্ষা স্থগিতের কোনো নোটিশ না থাকার কথা জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

তবকপুর আবুবকর ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার সভাপতি মাওলানা মিনহাজুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এজন্য নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক ও নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি সামিউল ইসলাম প্রমাণিক বলেন, অধ্যক্ষ ফোন করে জানান অসুস্থ। এ কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমি যাইনি।

রোকনুজ্জামান মানু/এএইচ/জেআইএম

Read Entire Article