পরিত্যক্ত ঘরের লাখ টাকার বিল, কর্মকর্তা বললেন ‘মানুষ মাত্রই ভুল’

3 hours ago 2

ফেনীর পরশুরামে এক পরিত্যক্ত ঘরের মাসিক বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪০৭ টাকা। অথচ ঘরটিতে জ্বলে শুধু একটি বাতি, সেটিও সন্ধ্যার পর মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য। তবে বিলের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা বললেন, মানুষ মাত্রই ভুল।

এদিকে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গ্রামজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের নোয়াপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের রেজু মিয়া পরিবার নিয়ে গত ৫ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন। গ্রামের বাড়িতে তাদের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় শুধু একটি বাতি জ্বলে। বিগত সময়ে সেই সংযোগে জিরো ইউনিটের বিলই আসত। কিন্তু সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীরা বাড়িতে বিলের কাগজ পৌঁছে দিলে প্রকাশ পায় এই ‘ভুতুড়ে বিল’। আগামী ১৩ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী গ্রাহকের ছেলে আমির হোসেন জুয়েল বলেন, আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকি না। মাঝেমধ্যে ঢাকা থেকে বাড়িতে গেলেও চাচার বাড়িতে থাকি। সেখানে আমাদের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে, যেখানে সন্ধ্যায় শুধু একটি বাতি জ্বলে। সোমবার আমার চাচাতো ভাই বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পেয়ে বিষয়টি আমাদের জানালে হতবাক হয়ে যাই। এতোদিন এ ঘরের বিদ্যুৎ বিল সাধারণত জিরো ইউনিটের যে বিল আসে সেটিই আসতো।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিল প্রস্তুতকারী মিতা দাস বলেন, সফটওয়্যারের ত্রুটির কারণে এ সমস্যা হয়েছে। বিলটি সংশোধন করা হয়েছে। কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে।

পরশুরাম পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম সুহেল আখতার বলেন, বিদ্যুৎ বিলটি ভুলবশত প্রস্তুত করা হয়েছিল। গ্রাহকের প্রকৃত বিল জিরো ইউনিটের, কিন্তু সফটওয়্যারের ত্রুটিজনিত কারণে বিলের টাকা বেড়ে গেছে। মানুষ মাত্রই ভুল। ভুল হয়েছে, আমরা তা ঠিক করে দিয়েছি।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন বলেন, বিলের বিষয়টি অবগত হয়েছি। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলব।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এনএইচআর/জিকেএস

Read Entire Article