বন্দর বন্ধ রেখে অবৈধ পণ্য ও চোরাচালান ঠেকাতে গেলে ‘উল্টো ফল’ হবে

2 weeks ago 13

কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সংগঠনটি বলছে, অবৈধ পণ্য অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে বন্দর বন্ধ রাখার যে কৌশল তাতে ‘উল্টো ফল’ হতে পারে। যেখানে ব্যবসায়ীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনটি এ উদ্বেগ জানিয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়া নেওয়া এ উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে। পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দরটির রাজস্ব আদায়ও ব্যাহত হবে।

বিবৃতিতে ডিসিসিআই জানায়, অবৈধ পণ্য অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে সন্ধ্যা ৬টার পর বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এটি বাস্তবে উল্টো ফল বয়ে আনবে। কারণ, সীমিত সময়ের কারণে বন্দরের দুই পাশে শত শত ট্রাক আটকে থাকবে, বিশেষ করে পচনশীল পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। এতে সার্বিকভাবে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ‘লিড টাইম’ বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০ লাখ ১১ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এইক সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন পণ্য।

এ বিশাল বাণিজ্য কার্যক্রমের ওপর এমন আকস্মিক সিদ্ধান্ত বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে ডিসিসিআই।

সংগঠনটি আরও জানায়, অবৈধ পণ্য ও চোরাচালান রোধে বন্দর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াই উত্তম হবে। কিন্তু সেই অজুহাতে বন্দর কার্যক্রম বন্ধ রাখা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিয়মিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল থাকলে বরং চোরাচালান কার্যক্রম কমে আসবে। তাই ব্যবসার বর্তমান অচলাবস্থা দূর করতে সন্ধ্যার পর কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই।

ইএআর/এমকেআর/জিকেএস

Read Entire Article