ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিকসহ কিছু পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বাংলাবান্ধা থেকে পিভিসি ডোরের একটি গাড়ি ফেরত এসেছে। তবে বন্দরের অন্য পণ্যের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
রোববার (১৮ মে) বিকেল পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৯ ট্রাক প্লাস্টিক দানা ও ১০ ট্রাক কটন র্যাগস ভারতে রপ্তানি হয়েছে। আর নেপালে আলু রপ্তানি হয়েছে তিন ট্রাক।
বন্দর সূত্র জানায়, ভারত ও ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর আমদানি নির্ভর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি হয় সীমিত পরিমাণে। বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কটন র্যাগস, প্রসেস ফুট ও প্লাস্টিক দানা রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া ভারতে সীমিত পরিসরে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী ও প্লাস পণ্যসহ পিভিসি ডোর (দরজা) রপ্তানি হয়। এই নিষেধাজ্ঞায় এসব পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে চতুর্দেশীয় এই স্থলবন্দরে বড় কোনো প্রভাব পড়েনি। আমদানি নির্ভর স্থলবন্দরটিতে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাক পাথর আমদানি হচ্ছে। এছাড়া নেপালে রপ্তানি হচ্ছে আলুসহ নানা পণ্য। সর্বশেষ রোববার ৯ ট্রাক প্লাস্টিক দানা ও ১০ ট্রাক কটন র্যাগস রপ্তানি হয়েছে।

স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুমন ইসলাম বলেন, রোববার ভারতে এক গাড়ি পিভিসি ডোর রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের ব্যবসায়ীরা সেটা নিচ্ছেন না। তাই বন্দর থেকে এই পণ্য ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেসব পণ্য এই স্থলবন্দর দিয়ে খুব একটা যায় না। দু’একটি পণ্য গেলেও খুব সীমিত। এজন্য ভারত সরকারের নতুন নিষেধাজ্ঞায় এখানে তেমন প্রভাব পড়েনি। আমাদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক রয়েছে।
সফিকুল আলম/এফএ/জেআইএম

5 months ago
40









English (US) ·