ফিলিস্তিনিদের নিকট নেলসন মেন্ডেলা খ্যাত মারওয়ান বারঘুতিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টাইম ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, পরবর্তী ইসরায়েল সফরে বারঘুতির মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সাক্ষাৎকারে চুক্তির বিষয়ে নিজের ভূমিকা উল্ল্যেখ করে ট্রাম্প বলেন, হামাস নয় বরং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এই চুক্তির জন্য সবচেয়ে বড় বাধা ছিল। এ যুদ্ধ বছরের পর বছর চলতে পারত। কিন্তু আমি নেতানিয়াহুকে থামালাম এবং সবাই তখন একত্রিত হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময় হলেও মারওয়ান বারঘুতিকে মুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। বারঘুতি ২৩ বছর ধরে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি আছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমি এই মুহূর্তে বলতে পারি যে বারঘুতিকে এই বন্দি বিনিময়ের অংশ করা হবে না।
১৯৫৯ সালে রামাল্লার কোবারা গ্রামে জন্ম নেওয়া বারঘুতি ফিলিস্তিনি রাজনীতির মুখ্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ২০০২ সালে বারঘুতিকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর ২০০৪ সালে পাঁচটি হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পশ্চিম তীরের রাজনৈতিক সংগঠন ফাতাহের শীর্ষস্থানীয় এ নেতা ২০০০–২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
জনমত জরিপে জানা গেছে, ৬৬ বছর বয়সী বারঘুতিকে যদি মুক্তি দেওয়া হয় তবে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, মিশর ও কাতারসহ কয়েকটি মধ্যস্থতাকারী দেশ বারঘুতির মুক্তি নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও মিশরের গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রশাদ ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে জানা গেছে। তবে কোনো কিছুর বিনিময়েই বারঘুতিকে মুক্তি দিতে অসম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই
কেএম

2 weeks ago
18









English (US) ·