বর্তমানে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন পরিবারের সদস্যরাও। এমনকি তার দুই কন্যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে পৌঁছেছেন মুম্বাইয়ে। এই অবস্থায় আবারও আলোচনায় এসেছে ধর্মেন্দ্রর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন।
সংসদ সদস্য হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু মাত্র পাঁচ বছর পরই রাজনীতি ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু কেন?
২০০৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ‘সুইং ইন্ডিয়া’ প্রচারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে নাম লেখান ধর্মেন্দ্র। সে সময় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন দলের শীর্ষ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির। ওই সাক্ষাৎই তার রাজনীতিতে প্রবেশের পথ তৈরি করে। বিজেপি তাকে রাজস্থানের বিকানের আসন থেকে প্রার্থী করে। কংগ্রেস প্রার্থী রমেশ্বরলাল দুদিকে প্রায় ৬০ হাজার ভোটে পরাজিত করে সংসদে যান তিনি।
তবে চলচ্চিত্রে অগণিত সাফল্য পাওয়া ধর্মেন্দ্রর রাজনৈতিক জীবন ছিল একেবারেই সংক্ষিপ্ত ও হতাশাজনক। জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘শোলে’র সংলাপ ব্যবহার করে এক সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘সরকার যদি আমার কথা না শোনে, তাহলে আমি সংসদের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ব।’
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, তার সংসদে উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত সীমিত। বিকানেরের মানুষ অভিযোগ তুলেছিলেন, তাদের সাংসদ খুব কমই এলাকায় সময় দেন। বেশিরভাগ সময় কাটান শুটিংয়ে বা ফার্মহাউসে। অনেকেই তাকে ‘অনুপস্থিত সাংসদ’ বলেও আখ্যা দেন। যদিও সমর্থকরা দাবি করেন, ধর্মেন্দ্র নীরবে বিকানেরের উন্নয়নে কাজ করতেন।
২০০৯ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ধর্মেন্দ্র আর কখনো নির্বাচনে অংশ নেননি। পরে তার পুত্র সানি দেওল এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘বাবা রাজনীতি পছন্দ করতেন না, বরং তা নিয়ে অনুশোচনাও করতেন।’
ধর্মেন্দ্র নিজেও একসময় বলেছিলেন, ‘কাজ আমি করতাম। কিন্তু কৃতিত্ব অন্য কেউ নিয়ে যেত। হয়তো রাজনীতি আমার জায়গা ছিল না।’
পরবর্তীতে তার স্ত্রী হেমা মালিনি ও ছেলে সানি দেওল রাজনীতিতে যোগ দেন। হেমা মালিনি এখন পর্যন্ত তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে। অন্যদিকে সানি দেওল পাঞ্জাবের গুরদাসপুর থেকে একবার নির্বাচিত হয়ে পরে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান।
এলআইএ/এমএস

2 hours ago
5









English (US) ·