বাস, লঞ্চ বা ট্রেনে চাইলেই যত খুশি মালামাল নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সে সুযোগ নেই। বিমানে ভ্রমণের সময় লাগেজের ওজন, আকৃতি, এমনকি ভেতরের উপকরণ নিয়েও রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়মকানুন। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও উড়োজাহাজের ভারসাম্য রক্ষায় এসব নিয়ম কঠোরভাবে মানা হয়।
বিমানে সাধারণত দুই ধরনের লাগেজ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়— হ্যান্ড লাগেজ (কেবিন ব্যাগ) ও বুকিং লাগেজ (চেক-ইন ব্যাগ) । প্রতিটির ক্ষেত্রেই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত ও সীমাবদ্ধতা।
১. কেবিন বা হ্যান্ড লাগেজ
ওজনসীমা : বিদেশগামী যাত্রীরা সর্বোচ্চ ৭ কেজি ওজনের হ্যান্ড লাগেজ নিতে পারেন।
আকারসীমা : হ্যান্ড লাগেজের দৈর্ঘ্য ২০ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৫ ইঞ্চি ও গভীরতা ১০ ইঞ্চির বেশি হওয়া চলবে না। এর বেশি হলে সেটি কেবিনে নেওয়া যাবে না, বরং বুকিং লাগেজ হিসেবে দিতে হবে।
যা নেওয়া যাবে : হ্যান্ড লাগেজে রাখা যায় স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, জরুরি কাগজপত্র, ওষুধ ইত্যাদি।
যা নেওয়া যাবে না : ছুরি, কাঁচি, সুচ, ম্যাচ, লাইটার এবং ১০০ মিলিলিটারের বেশি তরল পদার্থ (যেমন—শ্যাম্পু, পারফিউম, লোশন, স্প্রে, নেইলপলিশ ইত্যাদি) হ্যান্ড লাগেজে নেওয়া নিষিদ্ধ। এ ছাড়া নিরাপত্তা বা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে বিঘ্ন ঘটায় এমন কিছু বহন করাও নিষিদ্ধ।
২. বুকিং লাগেজ
আকার ও পরিমাণ : ২৭ ইঞ্চি লম্বা, ১১ ইঞ্চি চওড়া ও ১৪ ইঞ্চি গভীরতার লাগেজ সাধারণত বুকিং লাগেজ হিসেবে ধরা হয়।
বেশিভাগ এয়ারলাইন একজন যাত্রীকে এক বা দুইটি লাগেজ বিনা চার্জে বুকিং করার সুযোগ দেয়।
ওজনসীমা (ক্লাসভেদে)
বিজনেস ক্লাসে : দুটি ব্যাগে মোট ৬০ কেজি (প্রতিটি ৩০ কেজি করে)।
ইকোনমি ক্লাসে : দুটি ব্যাগে মোট ৪০ কেজি (প্রতিটি ২০ কেজি করে)।
দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য : একটি ব্যাগে সর্বোচ্চ ১০ কেজি বহনের অনুমতি আছে। এ ছাড়া শর্তসাপেক্ষে শিশু বহনের স্ট্রলার নেওয়া যায়।
যা রাখা যাবে না: বুকিং লাগেজে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, মোবাইল বা ট্যাব, মুদ্রা, মূল্যবানসামগ্রী, পাওয়ার ব্যাংক বা লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার হয় এমন যন্ত্র রাখা নিষিদ্ধ। এসব হারিয়ে গেলে এয়ারলাইনের কোনো দায় থাকে না।
দাহ্য বা তরল পদার্থ : পারফিউম, সেভিং ফোম, জীবাণুনাশক ইত্যাদি দাহ্য পদার্থ ৫০০ মিলিলিটারের বেশি নেওয়া যাবে না।
ভ্রমণের আগে যা জেনে নেবেন
এয়ারলাইন, গন্তব্য ও টিকিটের শ্রেণিভেদে লাগেজের নিয়ম কিছুটা আলাদা হতে পারে। তাই যাত্রার আগে নিজের এয়ারলাইনের ওয়েবসাইটে গিয়ে লাগেজ সীমা, অনুমোদিত পণ্য ও নিষিদ্ধ সামগ্রীর তালিকা দেখে নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।
তথ্যসূত্র : এইচএসআইএ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

2 days ago
11









English (US) ·