বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে ভারতের আগ্রায় অনুষ্ঠিতব্য ৭ম গ্লোবাল তাজ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র ‘ঊনাদিত্য – লেস দেন সান গড’।
আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ নভেম্বর আগ্রার জেপি অডিটরিয়াম, খান্দারি ক্যাম্পাসে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন রাজীবুল হোসেন, যিনি বাংলাদেশের সমসাময়িক চলচ্চিত্রে নন্দনতত্ত্ব, দর্শন ও সমাজচেতনার ভিন্ন স্বরের নির্মাতা হিসেবে পরিচিত। তবে এই চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো এর প্রযুক্তিগত দিক। ‘ঊনাদিত্য’ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র, যা ২০২৫ সালে চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ও ডিজিটাল পুনর্নির্মাণের অংশ হিসেবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিমাস্টার করা হয়েছে। একে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রযুক্তির এক নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
‘হাবিব জাকারিয়া’-এর কাহিনি ও চিত্রনাট্যে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রুনা খান, সমু চৌধুরী, মাহদি মাইনুল, জয় রাজ, রাকীবুল হোসেন এবং স্থানীয় ওঁরাও জনগোষ্ঠীর একদল শিল্পী।
চলচ্চিত্রটির কাহিনি সংক্ষেপে জানা যায়, তরুণ আলোকচিত্রী খালেদ সৈকত এক অজানা গ্রামে যাত্রা করে। সেখানে সে ওঁরাও সম্প্রদায়ের ধর্মান্তরিত তরুণ আরুণ খালকো ও স্কুলশিক্ষিকা আরতির জীবনে জড়িয়ে পড়ে। খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত আরুণ সমাজচ্যুত হলেও নিজের জাতিকে উন্নত করার স্বপ্ন দেখে, আর আরতি তার স্বপ্নে নিজের অস্তিত্ব খোঁজে। ফাগুয়া উৎসব, প্রেম ও বিশ্বাসের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে এই চলচ্চিত্রটি ওঁরাও জাতিগত পরিচয়, ভালোবাসা ও আত্ম-আবিষ্কারের গল্প বলে।
এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন (এআইএমসি) বাংলাদেশ প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণে ছিলেন পরিচালক রাজীবুল হোসেন নিজেই। সম্পাদনা ও রঙ সংশোধন করেছেন সামীর আহমেদ এবং সংগীত পরিচালনায় ছিল ব্যান্ড ‘যাযাবর’ (আফজাল হোসেন তানিম, সোহেল রানা ও রেজাউল রাসেল)।
উৎসব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী উপলক্ষে নির্মাতা রাজীবুল হোসেন ও অভিনেত্রী রুনা খান বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে, ভারতের সঙ্গে ভিসা জটিলতার কারণে উৎসবে তাদের অংশগ্রহণ বর্তমানে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

3 hours ago
6









English (US) ·